দাঙ্গা, মাদক ও সন্ত্রাস রোধকল্পে স্বেচ্ছায় দেশীয় অস্ত্র জমাদান ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যাহ বিপিএম-পিপিএম বলেন, হবিগঞ্জ জেলা এখন আর আগের মতো জেলা নয়। হবিগঞ্জ জেলা এখন একটি শিল্পোন্নত জেলা। এখানে গর্ব করার মতো অনেক কিছু আছে, যা অন্য জেলায় নেই। এখন বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ হবিগঞ্জ জেলা দেখার জন্য ছুটে আসেন, যা আপনাদের গর্ব করার মতো। তবে এত গর্বের মধ্যে একটি দুঃখ আছে, তা হচ্ছে দাঙ্গা। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামারি, হানাহানি করে খুন খারাবির মতো ঘটনা ঘটে, যা সত্যিই পীড়াদায়ক। এ থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। মনে রাখতে হবে- যাকে আঘাত করছি, সে আমাদের স্বজন, আমাদের ভাই, আমাদের প্রতিবেশী। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আর যেন কোনো হানাহানি না ঘটে সে ব্যাপারে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। শনিবার বিকালে উত্তর সাঙ্গর প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ রঞ্জন কুমার সামন্ত। এসআই ধ্রুবেশ চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) এসএম ফজলুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বানিয়াচং সার্কেল) শেখ সেলিম উদ্দিন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউপি চেয়ারম্যান শেখ সামছুল হক। অনুষ্ঠানের শেষে গ্রামের শতাধিক মানুষ নিজ উদ্যোগে গ্রাম্য দাঙ্গায় ব্যবহৃত টেটা, ফিকলসহ প্রায় ৩ সহস্রাধিক দেশীয় অস্ত্র পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যাহ বিপিএম-পিপিএম কাছে জমা দেন। যারা অনুষ্ঠানস্থলে দেশীয় অস্ত্র জমা দেয়নি, তাদের আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট থানায় দেশীয় অস্ত্র জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। এর পরে কারো বাড়িতে দেশীয় অস্ত্র পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করার হুঁশিয়ারি প্রদান করেন। এর পূর্বে মাদক বিরোধী রচনা প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণকারী ১টি কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্রদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথিসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।