গত বছর নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের নজিরবিহীন আন্দোলনের পর পাস হয় সড়ক পরিবহন আইন। এতে সড়কে নিয়ম ভঙ্গে জরিমানা বেড়েছে হাজার গুণ পর্যন্ত, বেড়েছে কারাদণ্ডও। এটি কার্যকর করা হয় চলতি মাসের ১ নভেম্বর থেকে। কার্যকরের শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছে বহুল আলোচিত সড়ক পরিবহন আইন। বরাবরের মতো বিরোধীতা করে আসছেন পরিবহন খাতের নেতারা। একপর্যায়ে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের আন্দোলনে আইনের তিনটি ধারা প্রয়োগে প্রায় আট মাস ছাড় দেওয়া হয়। পরিবহন বিশেষজ্ঞ ও নেতারা বলেছেন, প্রস্তুতি ছাড়াই আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে সড়কে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়। তাই পরিবহন নেতাদের দাবির কাছে সরকারকে নতিস্বীকার করতে হয়েছে। একবার ছাড় দেওয়ায় আইনটি ভবিষ্যতে কঠোরভাবে প্রয়োগ করার সম্ভাবনাও কমে গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সারা দেশে অঘোষিত গণপরিবহন ধর্মঘটে যাত্রী জিম্মি করার মাধ্যমে আইন অমান্যের সংস্কৃতি বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছেন পরিবহন খাতের নেতারা। সরকার ও বিরোধী দলের পঞ্চপাণ্ডবের কাছে এখন জিম্মি দেশের সড়ক পরিবহন খাত। তাদের যাত্রীস্বার্থবিরোধী সংঘবদ্ধ তৎপরতার কারণে পরিবহন খাতের কোনো আইনই কার্যকর করা যাচ্ছে না।