নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সড়ক নির্মাণ জনরোষে পালালেন প্রকৌশলী
প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ১ নং কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের শেখপুরা গ্রামের নূরনবী চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে থেকে মজুমদার বাড়ি পর্যন্ত চলতি বছর ৭শ’ মিটার সড়কের কার্পেটিং কাজের জন্য ২৫ লাখ ৪৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। সেই মোতাবেক ঢাকাস্থ জি-৪, দক্ষিণ বনশ্রী খিলগাঁও মেসার্স এম এ ইঞ্জিনিয়ার নিজে ওই প্রকল্পের কাজ না করে লক্ষ্মীপুরের এক প্রভাবশালী ঠিকাদার মো. এমদাদ পাটোয়ারীর কাছে ভাগ-বাটোয়ারার মাধ্যমে ওই কাজ বিক্রি করে দেন। এমদাদ কাজ শুরুর এক পর্যায়ে উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী তৌহিদ উদ্দিনের সঙ্গে আঁতাত করে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সড়ক নির্মাণ করতে গেলে স্থানীয় গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ করলে ওই স্থানে উপস্থিত থাকা রামগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. তৌহির উদ্দিন দৌড়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। খবর পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পৌর কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসেন দেলু এসপির ছেলে কামাল হোসেন মোটরসাইকেলে ওই দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলী তৌহির উদ্দিনকে দ্রুত উদ্ধার করে রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদে নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে রামগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাহিদ হাসান নির্মাণাধীন সড়ক থেকে নিম্নমানের সামগ্রী অপসারণের জন্য ঢাকাস্থ জি-৪, দক্ষিণ বনশ্রী খিলগাঁও মেসার্স এম এ ইঞ্জিনিয়ারকে নির্দেশ দিয়ে একটি চিঠি দেন। এ ব্যাপারে রামগঞ্জ উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী তৌহির উদ্দিন জানান, আমি পালিয়ে আসিনি। নিরাপত্তার স্বার্থে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তড়িঘড়ি করে রামগঞ্জে চলে এসেছি। মেসার্স এম এ ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে কমিশনে ক্রয় করা লক্ষ্মীপুরের ঠিকাদার মো. এমদাদ পাটোয়ারী সাংবাদিকদের জানান, আমি কীভাবে কাজ করি বা করবো সেটা আপনাদের জানার দরকার নেই। আর কাগজপত্রে যে ঠিকাদারের নাম উল্লেখ আছে তার নামও জানার দরকার নেই। আমি সময়মতো আপনাদের সঙ্গে দেখা করবো। এ ব্যাপারে রামগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাহিদ হাসান জানান, নিম্নমানের সামগ্রী অপসারণের জন্য আমি ইতিমধ্যে মেসার্স এম এ ইঞ্জিনিয়ারিং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিয়েছি। একজন ঠিকাদারের কাজ আরেকজন ঠিকাদার করতে পারেন না। ঢাকাস্থ মেসার্স এম এ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কাজ লক্ষ্মীপুরের ঠিকাদার মো. এমদাদ পাটোয়ারী কীভাবে করে তা আমার জানা নাই। আর ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রোপাইটরের নামও আমি জানি না।