কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে প্রথমবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক নৃত্য উৎসব ‘ওশান ড্যান্স ফেস্টিভ্যাল-২০১৯’। নৃত্যযোগ’র সভাপতি ও নৃত্যশিল্পী আনিসুল ইসলাম হিরু জানান, আগামীকাল থেকে চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিতব্য এ উৎসবে বিশ্বের ১৫টি দেশের ২০০ জন নৃত্যশিল্পী অংশ নেবেন। বিশ্বব্যাপী নৃত্যশিল্পীদের সংগঠন ‘দ্য ওয়ার্ল্ড ড্যান্স অ্যালায়েন্স-এশিয়া প্যাসিফিকের (ডব্লিউডিএ-এপি)’ এর বাংলাদেশ শাখার ‘নৃত্যযোগ’ প্রথমবারের মতো এই আয়োজনটি করছে। বাংলাদেশের সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য্যের সঙ্গে সাংস্কৃতিক পর্যটনের মেলবন্ধন রচনার জন্যই এই আয়োজন বলে জানান উৎসবের প্রিন্সিপাল কিউরেটর ও নৃত্যযোগ’র সাধারণ সম্পাদক লুবনা মরিয়ম। বাংলাদেশসহ এ উৎসবে অংশ নিবে তাইওয়ান, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, কোরিয়া, চীন, লিথুনিয়া, কানাডা, হংকং-সহ আরো কয়েকটি দেশ। নৃত্য পরিবেশনের পাশাপাশি উৎসবে থাকবে প্রবন্ধ উপস্থাপন, সেমিনার, কর্মশালা ইত্যাদি। এ বছরের বিষয়বস্তু ‘দূরত্বের সেতুবন্ধন’। উদ্বোধনী বক্তব্য রাখবেন ভারতীয় নৃত্যশিল্পী লীলা স্যামসন, ডব্লিউডিএ-এশিয়া প্যাসিফিকের সভাপতি ড. উর্মিমালা সরকার এবং বাংলাদেশের পক্ষে নৃত্যশিল্পী ও ডব্লিউডিএ-এশিয়া প্যাসিফিকের সাধারণ সম্পাদক লুবনা মরিয়ম। উৎসবে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নৃত্যশিল্পী আকরাম খান প্রেরিত একটি ভিডিও দেখানো হবে। উৎসবের চার দিনই ভোর থেকে মারমেইড ইকো রিসোর্ট সংলগ্ন সৈকতে চলবে বিষয়ভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন, কর্মশালা, সেমিনার। সন্ধ্যা থেকে কক্স কার্নিভাল মিলনায়তনে চলবে দুই দফা নৃত্য পরিবেশনা। প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা থেকে পরিবেশনা নিয়ে মঞ্চে আসবেন আন্তর্জাতিকভাবে নির্বাচিত শিল্পীরা। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে চলবে জাতীয়ভাবে নির্বাচিত শিল্পীদের পরিবেশনায় লোকনৃত্য, সমসাময়িক নৃত্য, শাস্ত্রীয় নৃত্য ও নৃত্যনাট্য। কক্সবাজারে প্রথমবার মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে নৃত্যনাট্য ‘বাদীবান্দার রূপকথা’। সুকল্যাণ ভট্টাচার্যের নৃত্য পরিচালনায় শামীম আরা নীপা ও শিবলী মহম্মদসহ এতে নাচ করবেন ৮০ জনেরও বেশি নৃত্যশিল্পী। বাংলাদেশ থেকে নির্বাচিত দলগুলোর মধ্যে রয়েছে সাধনা, নৃত্যাঞ্চল, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, কল্পতরু, ধৃতি নর্তনালয়, ভাবনা, নৃত্যশৈলী ও বন্ধু সোশ্যাল ওয়েল ফেয়ার সোসাইটি। বাংলাদেশের নৃত্যশিল্পীদের মধ্যে রয়েছে লায়লা হাসান, মুনমুন আহমেদ, তামান্না রহমান, রাজদ্বীপ ব্যানার্জি, সাজু আহমেদ প্রমুখ ও তাদের দলগুলোর পরিবেশনা। এ উৎসবে বিভিন্ন জেলার আদিবাসী নৃত্যশিল্পীরাও অংশ নেবেন। উৎসবের আয়োজন সহযোগী হিসেবে আছে চ্যানেল আই ও মাত্রা। সমর্থন দিচ্ছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ও ট্যুরিজম বোর্ড। একাডেমিক সহযোগী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ। ধারণকৃত নৃত্য উৎসবের পুরো আয়োজনটি সমপ্রচার করবে চ্যানেল আই।