‘আত্মসমর্পণ করুন, নয়তো রাবার বুলেটের শিকার হন’

মানবজমিন প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

হংকং-এ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। হংকং পলিটেকনিক ইউনিভার্সিটির ভেতরে শত শত বিক্ষোভকারীকে আটকে রাখা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চারপাশ ঘিরে রেখেছে অসংখ্য পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের সেখান থেকে বের হওয়ার জন্য কোনো নিরাপদ পথ খোলা রাখা হয়নি। পুলিশি ঘেরাওয়ের মধ্যদিয়ে পালাতে গিয়ে আহত হয়েছেন অনেকে। চিকিৎসাবিহীন অবস্থায় ক্যামপাসের ভেতর আটকে আছেন তারা। বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে পুলিশ বলেছে, অস্ত্র রেখে আত্মসমর্পণ করুন, নয়তো কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেটের শিকার হন।বিগত কয়েকদিন ধরেই হংকং-এ পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ বেড়েছে। হংকং পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়টি বিক্ষোভকারীদের একটি প্রধান ঘাঁটি। সেখানে প্রবেশের চেষ্টা করে আসছিল পুলিশ সদস্যরা। তবে বিক্ষোভকারীরা পেট্রোল বোমা, ইট, তীর ও অন্যান্য অস্ত্র দিয়ে তাদের অবস্থান ধরে রাখে। রোববার পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। দুই পক্ষের মধ্যকার সংঘর্ষে আহত হয় অন্তত ৩৮ জন। এর মধ্যে বিক্ষোভকারীদের ছোড়া এক তীরে আহত হন এক পুলিশকর্মী। পুলিশের এক গাড়িতে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয় তারা। সোমবার হংকং-এর হাইকোর্ট এক রায়ে জানায়, প্রকাশ্যে মুখোশ পরার ওপর সরকারের জারি করা নিষেধাজ্ঞাটি অসাংবিধানিক। এরপর থেকে পরিস্থিতি আরো ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয় চারদিক থেকে ঘেরাও করে ফেলে পুলিশ। ভেতরে আটকা পড়ে কয়েকশ’ বিক্ষোভকারী। প্রসঙ্গত, হংকং-এ টানা পাঁচ মাস ধরে বিক্ষোভ চলছে। গত জুনে চীনে আসামি প্রত্যর্পণ বিষয়ক এক বিলের বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ শুরু হয়। অনবরত বিক্ষোভের মুখে ওই বিল বাতিল করে হংকং সরকার। তবে বিক্ষোভকারীরা পরবর্তীতে আরো দাবি জানায়। হংকং সরকার ওইসব দাবি না মানলে বিক্ষোভ চলতে থাকে।নিরাপদে সরে যাওয়ার সুযোগ দেয়নি পুলিশবিশ্ববিদ্যালয় ঘেরাও করার পর ভেতরে থাকা বিক্ষোভকারীদের নিরাপদে সেখান থেকে সরে যাওয়ার কোনো সুযোগ দেয়নি পুলিশ। আত্মসমর্পণই একমাত্র পথ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে তারা। ভেতরে আটকা পড়া বিক্ষোভকারীদের সরবরাহ শেষ হয়ে আসায় অনেকে ক্যামপাস থেকে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশ তাদের কাঁদানে গ্যাস, জলকামান ও রাবার বুলেট ছুড়ে ভেতরে যেতে বাধ্য করে। সোমবার বিকালে আরো একবার জোর প্রচেষ্টা চালায় বিক্ষোভকারীরা।  তবে তাও ব্যর্থ হয়।বিক্ষোভকারীদের অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয় ও হাইস্কুল শিক্ষার্থী। তারা এক সপ্তাহ ধরে পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয় দখল করে রেখেছে। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অন্তত ৫০০ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে আটকা ছিল। পুলিশ একাধিকবার ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেছে। তবে সফল হয়নি। সোমবার অন্তত ১৫৪ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ে আটকা পড়া মিত্রদের বাঁচাতে বাইরে থেকে চেষ্টা চালিয়েছে অন্য বিক্ষোভকারীরা। তবে তারাও ব্যর্থ হয়েছে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us