গাজীপুরের নুহাশ পল্লীতে নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে নন্দিত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৭১তম জন্মদিন পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল সকালে প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, তাদের দুই ছেলে নিশাদ, নিনিতসহ স্বজন ও ভক্তদের নিয়ে নুহাশ পল্লীতে কেক কাটেন। এর আগে লেখকের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, কবর জিয়ারত ও আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এসময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মেহের আফরোজ শাওন আরো বলেন, নুহাশ পল্লীতে হুমায়ূন আহমেদ জাদুঘর নির্মাণ করা হবে। এই জাদুঘরের স্থান নির্বাচন ও ডিজাইন করা হয়েছে। তিনি আরা বলেন, অর্থাভাবে নয় উদ্যোক্তার অভাবে হুমায়ূন আহমেদ ক্যান্সার হাসপাতাল বাস্তবায়ন হচ্ছে না। ক্যান্সার হাসপাতাল অনেক বিশাল ব্যাপার, বিশাল এই দায়িত্ব। আমার একার পক্ষে এত বিশাল দায়িত্ব নেয়া সম্ভব না। হুমায়ূন আহমেদের পরিবারের পক্ষ থেকে সম্মিলিত উদ্যোগ ছাড়া এটা বাস্তবায়ন সম্ভব না। দূর দুরান্ত থেকে আসা হুমায়ূন আহমেদের ভক্তরা বলছেন, হুমায়ূন আহমেদের আলোয় গাজীপুর তথা বাংলাদেশ আলোকিত হয়ে আছে। সারা দেশেই রয়েছে তার অসংখ্য ভক্ত। তাদের কেউ কেউ এখানে এসে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। তারা বলছেন, মাঝে মাঝেই তারা এই নুহাশ পল্লীতে আসেন। আসলে মনে হয় তারা হুমায়ূন আহমেদকে খুঁজে পান। তার লেখা অনেক বই মনে হয় আমাকে নিয়েই লিখেছেন, তাতে আছে আমার অনুভূতি মনের কথা সবকিছুই। তিনি আসলে আমাদের মধ্যে না থাকলেও হৃদয়ে যেন সবসময়ই বিরাজ করছেন। তাই শুধু আজকের এই বিশেষ দিনে নয়, ভক্তরা হুমায়ূনকে সারাবছরই স্মরণ করে থাকেন। উল্লেখ্য, ১৯৪৮ সালের ১৩ই নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া থানার কুতুবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ূন আহমেদ। দূরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০১২ সালের ১৯শে জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এরপর গাজীপুরের নুহাশ পল্লীতে তাকে সমাহিত করা হয়।