বেগমগঞ্জে প্রেমের ফাঁদে ফেলে শিশুকে গণধর্ষণ, আটক ২
প্রকাশিত: ০৩ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০
বেগমগঞ্জে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ১৩ বছরের শিশুকে দফায় দফায় ধর্ষণ করেছে ৫ নরপশু। এ ঘটনায় পুলিশ ২ ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে গতকাল চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, বেগমগঞ্জ উপজেলার ৪নং আলাইয়ারপুর ইউনিয়নের ভবভদ্রি গ্রামে ১৩ বছরের শিশুকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে দফায় দফায় ধর্ষণ করে অন্তঃসত্ত্বা করেছে ৫ নরপশু। এ ব্যাপারে শিশুর মা বিবি কুলসুম বাদী হয়ে স্থানীয় থানায় মামলা করেছে। বেগমগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হারুন অর রশিদ মানবজমিনকে জানায়, ভিকটিম (১৩) এর মা বিবি কুলসুম থানায় অভিযোগে জানায়, তার মেয়েকে একই এলাকার আমির আলী প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে গত ৭ই মে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর সে তার সহযোগী মান্না, আবির আলী, সোহেল ও জুয়েলকে বলে দিলে তারা এ ধর্ষণের কথা ফাঁস করে দিবে বলে ভিকটিমকে ২৮শে জুন পর্যন্ত তাকে দফায় দফায় ধর্ষণ করে অন্তঃসত্ত্বা করে ফেলে। এ অভিযোগ পত্রকে ১লা নভেম্বর বেগমগঞ্জ মডেল থানায় মামলা রেকর্ড হলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষক মান্না ওরফে হেঞ্জু ও সোহেল (৩৫) কে গ্রেপ্তার করে নোয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার বাদী ও ভিকটিমের মা গণমাধ্যম কর্মীদের জানায়, তার সহজ সরল মেয়ে (১৩) কে প্রেমের কথা বলে এবং বিয়ে করবেন বলে কথা দিয়ে প্রথমে আমির আলী ও পরে একে হুতার বাড়ির মান্না সহ আবির আলী, সোহেল ও জুয়েল বার বার ধর্ষণ করেছে। যার ফলে তার মেয়ে ভিকটিম (১৩) অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। এটা টের পেয়ে মেয়েকে জিজ্ঞাসা করলে সে ওই আসামিরা তাকে ধর্ষণ করেছে বলে জানালে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করে। বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) নুর আলম জানায়, ভিকটিমকে ২রা নভেম্বর শনিবার মেডিকেল টেস্ট করানোর জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে এবং পলাতক আসামিদের গ্রেফপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।