প্রতিদিন রাস্তায় কত মানুষ অনাহারে থাকেন। কত মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে খোলা আকাশের নিচে কাটান, তার কোনো হিসাব কেউ রাখে না। তাদের রোনাজারি কারো কানে পৌঁছে না। কিছু মানুষ তাদের দিকে নজর দেন। বেশির ভাগই এড়িয়ে চলেন। এসব মানুষকে নিয়ে ভাবার মানুষ খুব কমই আছেন। অথচ কুকুরের পিছনে বহু মানুষ লাখ লাখ টাকা খরচ করছেন। কুকুরের টেককেয়ার করার জন্য আলাদা কর্মী রাখা। একটি কুকুরের পিছনে যে খরচ হয় তা দিয়ে বহু সর্বহারা মানুষকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব। অন্যদিকে কুকুরকে নিরাপদ রাখতে জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ কোটি কোটি মানুষের সামনে উন্মুক্ত করে তুলে ধরেন অনেকে। এমনই এক কাণ্ড ঘটিয়ে বসেছেন ইংল্যান্ডের গ্রেহাউন্ড নামের কিছু কুকুরের মালকিনরা। তারা অবসরে যাওয়া কুকুরদের আশ্রয়ের জন্য তহবিল সংগ্রহ করতে চান। আর তাই ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন ওইসব যুবতীরা। তারপর আস্তে আস্তে গায়ের সব পোশাক খুলে ফেলেছেন। পুরো নগ্ন হয়ে পোজ দিয়েছেন। সঙ্গে তাদের কুকুর। এ ছবি ধারণ করা হয়েছে। তা দিয়ে বানানো হয়েছে ক্যালেন্ডার। নতুন বছরের ক্যালেন্ডারে তাদের নগ্ন ছবি ব্যবহার করে তা বিক্রি করা হচ্ছে ১০ পাউন্ড দামে। এমন উদ্যোগে অংশ নিয়েছেন মোট ১০ জন যুবতী। তাদের পোষা কুকুরের সঙ্গে ঠা-ার মধ্যে পুরো নগ্ন হয়ে পোজ দিয়েছেন। কেন্টের ফখাম এলাকার ডানরানিন রেহোমিং কেনেল দ্বারা উজ্জীবিত হয়ে তারা এ কাজ করতে সাহস পেয়েছেন। ২০২০ সালের এই ক্যালেন্ডারের আয়োজক লিনি হাইড। তিনি আশ্রয়শিবির থেকে দুটি কুকুর দত্তক নিয়েছেন। বলেছেন, তার সাথে যেসব নারী এভাবে পোজ দিয়েছেন তাদের মধ্যে একজনের সঙ্গে অন্যজনের এর আগে কোনো সাক্ষাত হয়নি। তবে ফেসবুকের মাধ্যমে আমাদের জানাশোনা হয়েছে। ফেসবুকের দত্তক বিষয়ক ওয়েবপেইজে সবাই একমত হই যে, সবাই নগ্ন হয়ে পোজ দেব। তাই সাহসিকতার সঙ্গে আমরা নগ্ন হয়েছি। পোজ দিয়েছি। এ থেকে যে আয় হবে তা দিয়ে এসব কুকুরের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হবে।