অষ্টগ্রামে চালকবিহীন অরক্ষিত নৌ-এম্বুলেন্স, ভুক্তভোগী রোগী

মানবজমিন প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

দীর্ঘদিন ধরে অষ্টগ্রামে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে দেয়া নৌ-এম্বুলেন্স ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় যেখানে সেখানে পরে থাকায় সংরক্ষণ করা যাচ্ছেনা। এতে হাওর উপজেলা অষ্টগ্রাম হাসপাতালের জরুরিকাজে অসুস্থ ভুক্তভোগী রোগী সেবার কাজ হতে বঞ্চিত হচ্ছে। ৬বছর পূর্বে জরুরি রোগীদের সেবার জন্য অষ্টগ্রাম হাসপাতালে একখানা নৌ- এম্বুলেন্স দেয়া হয়েছিল। যা দিনের পর দিন ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় এবং সংরক্ষির না থাকায় তার অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যায়। অষ্টগ্রাম একটি বৃহত্ত হাওর অধ্যুষিত উপজেলা হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা পর প্রতিদিন জরুরী বিভাগের চিকিৎসার জন্য অসুস্থ্য রোগীদের জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়ে থাকে। যেখানে নৌকা যোগে অষ্টগ্রাম হতে জেলা সদরে যেতে সময়ের প্রয়োজন ৫-৭ ঘণ্টা। আর অন্য বিকল্প পথে চলাচলের কোনো সুবিধা নেই। প্রধানমন্ত্রী এসকল রোগীদের চিকিৎসাসেবার দ্রুত ব্যবস্থার জন্য প্রতিটি হাওর উপজেলায় একটি করে নৌ-এম্বোলেন্স দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত কোনো চালক নেই। অথচ কতৃপক্ষের সদ-ইচ্ছা থাকলেও সেটি ব্যবহার করতে পারছেন না। খবর নিয়ে জানা যায়, বোটের চালক না থাকায় গত দুই বছরে এখন পর্যন্ত নৌ-এম্বুলেন্সটি দিয়ে দুজন রোগীর সেবা দিতে পারছেন না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কারণ জানতে চাইলে অনেকেই জানান, এম্বুলেন্সটির গতি অত্যন্ত কম থাকায় অষ্টগ্রাম হতে নদীপথে ৫ ঘণ্টা সময় লাগে পার্শ্ববর্তী কুলিয়ারচর পৌঁছেছে। অন্যথায়, নৌ-এম্বুলেন্সটি চলাচলের জন্য ফিটনেস না থাকায় নদীপথে চলাচলের প্রতিটি মুহূর্তেই ঝুঁকিপূর্ণ। এবিষয়ে অষ্টগ্রাম স্বাস্থ্য কমল্পেক্সের কর্মকর্তা ডা. ইসহাক বাবু জানান, বিষয়টি নিয়ে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নিকট বার বার চিটি প্রেরণ করেও কোনো ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি জানান, আলট্রাসনোগ্রাফ পরীক্ষা করতে প্রতিদিন কিশোরগঞ্জ জেলা সদর অথবা নৌ-বন্দর ভৈরবে গিয়ে প্রচুর অর্থ ব্যয় সহ প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছে রোগীদের।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us