ডেমোক্রেটদের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন ট্রাম্প

মানবজমিন প্রকাশিত: ০৩ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অভিশংসনের তদন্ত নিয়ে ডেমোক্রেটদের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তার বিরুদ্ধে অভিশংসনের তদন্তে এখন বেশ কিছু ডকুমেন্ট দাবি করছে হাউজ ইন্টেলিজেন্স কমিটি। এটাই এখন আলোচনার কেন্দ্রে। এমন অবস্থায় ডেমোক্রেট নেতাদের বিরুদ্ধে অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করে আক্রমণ করেছেন ট্রাম্প। তিনি ডেমোক্রেট নেতাদের অসৎ, এমনকি রাষ্ট্রদ্রোহী বলে আখ্যায়িত করেছেন। তবে ডেমোক্রেটরা তাদের তদন্ত স্বচ্ছ বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিস্তোর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেট দল থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী জো বাইডেন এবং তার ছেলে হান্টার বাইডেনকে ‘পাথর শীতল দুর্নীতিবাজ’ বলে আখ্যায়িত করেন। এ সময় তিনি প্রতিনিধি পরিষদের হাউজ ইন্টেলিজেন্স কমিটির চেয়ারম্যান এডাম শিফের বিরুদ্ধে সরাসরি বেশির ভাগ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি এডাম শিফ’কে ‘চতুর শিফ’, ‘একজন কৃপণ’ বলে অভিহিত করেন। ট্রাম্প দাবি করেন, এডাম শিফ’কে লজ্জাজনকভাবে পদত্যাগ করা উচিত। ট্রাম্পের ভাষায়, খোলামেলাভাবে বলছি, তাদের উচিত তার রাষ্ট্রদ্রোহিতার দিকে নজর দেয়া। তিনি আরো বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন কোনো প্রমাণ ছাড়াই তার বিরুদ্ধে হুইসেলব্লোয়ারকে অভিযোগ লিখতে সহায়তা করেছেন এডাম শিফ। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এমন মন্তব্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে ব্যাপক কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে। গত ২৫ শে জুলাই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কিকে ফোন করেন ট্রাম্প। এ সময় তিনি জো বাইডেন ও তার ছেলে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত করতে তাকে চাপ দেন। এক্ষেত্রে ইউক্রেনকে দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন ট্রাম্প। এ তথ্য প্রকাশ পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে অভিশংসনের জন্য তদন্ত শুরুর নির্দেশ দেন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার প্রতিদ্বন্দ্বীকে দমিয়ে দিতে বিদেশী শক্তির সহায়তা চেয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি তার শপথ ভঙ্গ করেছেন। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ঝুঁকিতে থাকা একটি মিত্রকে ২০২০ সালে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য চাপ প্রয়োগের অভিযোগ করা হয় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। যদি তার বিরুদ্ধে তদন্তে যথাযথ তথ্য মেলে তাহলে তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। তবে জো বাইডেন এবং হান্টারের বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগ ট্রাম্প করেছেন তার পক্ষে কোনো প্রমাণ এখনও পাওয়া যায় নি। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগকে বিশ্বাস না করার আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, শুধু বৈধ হুইসেলব্লোয়ারদের সুরক্ষিত রাখা উচিত। কে এই হুইসেলব্লোয়ার তা খুঁজে বের করতে হবে দেশকে। কারণ, আমার মতে তিনি একজন গুপ্তচর। এক্ষেত্রে পুরো তদন্তকে তিনি ধাপ্পাবাজি এবং মার্কিন জনগণের বিরুদ্ধে একটি প্রতারণাপূর্ণ অপরাধ বলে মনে করেন। এ সময় কংগ্রেসের সঙ্গে সব সময়ই তিনি সহযোগিতার প্রত্যায় ঘোষণা করেন। তিনি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন কিনা এমন এক প্রশ্ন করায় বার্তা সংস্থা রয়টার্সের একজন সাংবাদিকের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হোয়াইট হাউজে তর্কাতর্কি করেন। ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট তখন ট্রাম্পের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। ট্রাম্প বলতে থাকেন, অনেক মানুষ আছেন। তারা মনে করেন আমি খুবই স্থিতিশীল একজন জিনিয়াস। যারা রাশিয়া কানেকশন নিয়ে তদন্তে অংশ নিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারেন তিনি। এমন সম্ভাব্যতা রয়েছে প্রবল। এর আগে প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ও ডেমোক্রেটদের শক্তিধর নেতা ন্যান্সি পেলোসি এবং এডাম শিফের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ট্রাম্প। তারা ‘বুলশিট’ বা বাজে কথায় নজর দিয়েছেন বলে অভিহিত করেন তিনি। ন্যান্সি পেলোসির নিজের শহর সান ফ্রান্সিসকোর দিকে তার দৃষ্টি দেয়া উচিত বলে মনে করেন ট্রাম্প। তিনি ওই শহরটিকে গৃহহীন মানুষদের ‘তাঁবুর শহর’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us