চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলসংযোগ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সোনালি অধ্যায়ে পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেছেন রেলপথ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন। গতকাল দুপুরে নীলফামারীর চিলাহাটিতে ভারতের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে চিলাহাটি এবং চিলাহাটি বর্ডারের মধ্যে ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।রেলমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেই রেলের উন্নতি হয়। আর অন্য দল ক্ষমতায় থাকলে সব লুটেপুটে খায়। এসময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিশেষ অতিথি রীভা গাঙ্গুলী দাস বলেছেন, বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিকভাবে উত্তরোত্তর উন্নতিতে প্রতিবেশী ও বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে ভারত গর্ব করে। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আসাদুজ্জামান নূর এমপি, নীলফামারী-১ আসনের সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকার, সংরক্ষিত সংসদ সদস্য রাবেয়া আলীম, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক হারুন-অর-রশীদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। জানাযায়, বাংলাদেশ-ভারত রেলপথের এই রুটটি ৫৪ বছর ধরে বন্ধ থাকার পর আবারো ডোমার উপজেলার চিলাহাটি থেকে সচল হচ্ছে ভারতে হলদিবাড়ির সঙ্গে রেল যোগাযোগ। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আবারো রেল সুবিধা পাবেন এই অঞ্চলের মানুষ। উভয় দেশের ১১ দশমিক ৩৪ কিলোমিটার রেললাইনের মধ্যে বাংলাদেশ অংশের প্রায় সাড়ে সাত কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণের কাজ করছে ম্যাক্স ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। রেলপথটি নির্মাণের কাজ ২০২১ সালের জানুয়ারির মধ্যে শেষ করা হবে বলে জানা গেছে। মোট ৮০ কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬ দশমিক ৭২৪ কিলোমিটার এই রেল লাইন স্থাপনের কাজ করছে ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সূত্র মতে, রেলপথ স্থাপন শেষ হলে প্রথম ধাপে চলাচল করবে পণ্যবাহী রেল। দ্বিতীয় ধাপে যাত্রীবাহী ট্রেন। যাত্রীবাহী ট্রেনের মধ্যে ঢাকা হতে নিউ জলপাইগুড়ি (শিলিগুড়ি) ও নিউ জলপাইগুড়ি থেকে বাংলাদেশের দর্শনা সীমান্ত হয়ে কলকাতা শিয়ালদহ পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করবে বলে রেলওয়ের সূত্রে জানা গেছে।