পেশা। জীবিকার তাগিদে সবাইকে যুক্ত হতে হয় কোনো না কোনো কাজে। কিন্তু এই পেশা সকলের এক হয় না। আর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সমাজে দেখা মেলে ভিন্নধর্মী বিভিন্ন পেশার। এমনি কিছু পেশার মধ্যে রয়েছে-
মূত্র দিয়ে কাপড় পরিষ্কার
যখন সাবান আবিষ্কার হয়নি। তখন মূত্র দিয়ে কাপড় পরিষ্কার করা হতো। কারণ মূত্রে রয়েছে অ্যামোনিয়া যা কাপড় পরিষ্কার করার ক্ষমতা রাখে। প্রাচীন রোমে ক্রীতদাসরা মূত্র দিয়ে কাপড় পরিষ্কার করতেন।
প্রেমিক পদে চাকরি
প্রেমিক পদে চাকরি করে অনেকে নিজের ভরণপোষণ করে চলেছেন। বেশ কয়েকটি দেশে বৈধ এই পেশা চালু রয়েছে। এরমধ্যে অন্যতম আমেরিকা, চীন ও জাপান। এ ছাড়াও ইউরোপ ও দক্ষিণ আফ্রিকাতেও এই পেশা বেশ জনপ্রিয়।
বিয়ের অতিথি হওয়া
জাপানের মানুষেরা এতটাই ব্যস্ত যে, অন্যের বিয়েতে যোগ দেয়ার সময় নেই। তাই বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হন তারা অর্থের বিনিময়ে। অতিথি হয়ে যান বিয়ের সকল আনুষ্ঠানিকতায়। অংশগ্রহণ শেষে খেয়ে দেয়ে চলে আসেন।
ঘুম থেকে ডেকে দেয়া
যখন অ্যালার্ম ঘড়ি আবিষ্কার হয়নি তখন ঘুম থেকে ওঠানোর কাজটি করতো একজন দায়িত্বরত ব্যক্তি। তাকে বলা হতো নাকার আপার। তারা সময় অনুযায়ী বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে জানালায় শব্দ করে মানুষকে জাগাতেন।
যাত্রীদের ধাক্কা দেয়া
জাপান ও নিউ ইয়র্ক সিটির রেলস্টেশনে ভিড়ের সময় তারা যাত্রীদের ধাক্কা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করাতেন। যাতে আরো যাত্রী উঠতে পারে এবং সেই সঙ্গে গেট লাগানোর সময় কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে। তাদের বলা হয় ‘প্রোফেশনাল পুশার।’
লিঙ্ক বয়
লোডশেডিংয়ের সময় পথচারীদের রাস্তা দেখানোর জন্য মশাল হাতে দাঁড়িয়ে থাকতেন কিছু মানুষ। এর মাধ্যমে পথচারীদের পথ চলাচলে কোনো সমস্যা হতো না। এদেরকে বলা হতো লিঙ্ক বয়। ল্যাম্পপোস্ট উদ্ভাবনের আগে ইংল্যান্ডের রাস্তায় এই লিঙ্ক বয়দের দেখা পাওয়া যেত।
লেক্টর
ফ্যাক্টরিতে একটানা কাজ করতে গিয়ে শ্রমিকদের একঘেয়েমি দূর করার জন্য বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে ‘লেক্টর’ নিয়োগ দেয়া হতো। তাদের কাজ ছিল উচ্চস্বরে খবর এবং বিভিন্ন সাহিত্যকর্ম পড়ে শ্রমিকদের শোনানো। এতে দূর হতো একঘেয়েমি।