অর্থপাচারের অন্যতম মাধ্যম ট্রেড বেইজড : দুদক চেয়ারম্যান

মানবজমিন প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১১:৪২

অর্থপাচারের অন্যতম বাণিজ্য ভিত্তিক বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। গতকাল সেগুন বাগিচাস্থ সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের আবাসিক আইন উপদেষ্টা এরিক অপেঙ্গার সঙ্গে  সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের অর্থপাচারের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে ট্রেড বেইজড মানিলন্ডারিং।  এ জাতীয় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে দুদক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নিবিড় সমন্বয়ের প্রয়োজন। তাই কমিশন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরে অভিপ্রায় ব্যক্ত করে পত্র দিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কর্মকৌশল বাস্তবায়ন করা গেলে অর্থপাচারের লাগাম টেনে ধরা যেতে পারে।ইকবাল মাহমুদ বলেন, কেউ যদি আমেরিকায় অর্থ উপার্জন করে গাড়ি-বাড়িসহ সম্পদ গড়ে তোলেন, সে বিষয়ে দুদকের কোনো মাথা ব্যাথা নেই। তবে বাংলাদেশ থেকে কেউ যদি অবৈধভাবে অর্থপাচার করে আমেরিকা বা পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে সম্পদ তৈরি করেন, সেটা দুদক আইনের আওতাভুক্ত অপরাধ। অর্থপাচারকারীদের আইন-আমলে আনতে এফবিআইসহ সব  দেশের এ জাতীয় সংস্থার সহযোগিতা কামনা করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট ও এফবিআই এর সঙ্গে দুদকের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান এদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ প্রত্যার্পণ ও কমিশনের নিজস্ব সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণে যথেষ্ট সহযোগিতা করছে। দুদক এফবিআইয়ের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের জন্য যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে। কমিশন প্রত্যাশা করে, দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্ত বিশেষ করে মানিলন্ডারিং, সাইবার ক্রাইম, আর্থিক লেনদেনের তদন্তের ক্ষেত্রে ফরেনসিক এনালআইসিস, ট্রেডবেইজড, মানিলন্ডারিং, অপরাধীদের জিজ্ঞাসাবাদের কৌশল, সম্পদ পুনরুদ্ধার, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে সংঘটিত আর্থিক ক্রাইম, মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্টেন্স, তথ্য বিনিময়সহ বিভিন্ন ইস্যুতে মার্কিন জাস্টিস ডিপার্টেমেন্টের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতা আরো বিকশিত হবে। ইকবাল মাহমুদ বলেন, শুধু প্রশিক্ষণ নিলে হবে না, প্রতিটি প্রশিক্ষণ হতে হবে তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক জ্ঞানের সংমিশ্রণ। প্রশিক্ষণ মানেই বিদেশে যেতে হবে কমিশন এমনটা মনে করে না। প্রয়োজনে এসব বিষয়ে এফবিআই অথবা জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের প্রথিতযশা রিসোর্স পারসন বাংলাদেশে এসে কমিশনের কমকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিতে পারেন অথবা আঞ্চলিক পর্যায়ে যেমন সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয় কিংবা ইন্দোনেশিয়ায় সমন্বিতভাবে এসব প্রশিক্ষণ হতে পারে। অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে কমিশন সবসময়ই ভ্যালু ফর মানির বিষয়টি বিবেচনা করে। এই বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত, প্রতিরোধ অনুবিভাগের মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমুদ, আইসিটি ও প্রশিক্ষণ অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম সোহেল প্রমুখ।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us