পারস্য উপসাগরে আবার উত্তেজনা, যুদ্ধের আশঙ্কা

মানবজমিন প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

সৌদি আরবে তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলার পর পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে আবার উত্তেজনা বিরাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের হুমকিতে এ উত্তেজনা কয়েকগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেছেন, সৌদি আরবের তেল স্থাপনায় হামলার জবাব দিতে চায় তার দেশ। ইংরেজিতে তিনি একে বর্ণনা করেছেন এভাবে যুক্তরাষ্ট্র ‘লকড অ্যান্ড লোডেড’। যুদ্ধের সময় বন্দুকে গুলি ভরে এবং তা সক্রিয় করতে এ জাতীয় কমান্ড ব্যবহার করে সেনাবাহিনী। এমনিতেই মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বিরাজমান। ইরান, কাতার, লেবানন, ফিলিস্তিন, ইয়েমেন সহ বিভিন্ন দেশকে নিয়ে আলাদা এক উত্তেজনা সেখানে। তার মধ্যে শনিবার সৌদি আরবের এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেলক্ষেত্র আবকাইকে ইয়েমেনের বিদ্রোহী হুতিরা ড্রোন হামলা চালায়। এতে সোমবার বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়ে গেছে কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি। সৌদি আরবে হামলার দায় হুতিরা স্বীকার করলেও তা প্রত্যাখ্যান করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। তিনি বলেছেন, এ হামলার জন্য সরাসরি দায়ী ইরান। এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প টুইট করেছেন। তিনি তাতে বলেছেন, কে এই অপরাধী আমরা তা জানি। এটা বিশ্বাস করার কারণ রয়েছে। শুধু যাচাই করার ওপর নির্ভর করে আমরা ‘লকড অ্যান্ড লোডেড’। এ হামলার পিছনে কে বা কারা শুধু তাদের বিষয়ে আমরা সৌদি আরবের কাছ থেকে জানার অপেক্ষায় আছি। এর ওপরই নির্ভর করবে আমরা কোন প্রক্রিয়া অবলম্বন করবো। রোববার হোয়াইট হাউসে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের পরে এমন টুইট করেন ট্রাম্প। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা সৌদি আরবের তেলক্ষেত্রে হামলার জন্য সরাসরি আঙ্গুল তোলেন ইরানের দিকে। এমন হামলার জবাবে সামরিক অভিযান সহ সব রকম অপশন রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে। এ কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা। তবে তিনি বলেছেন, এখনও কোনো সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেয়া হয় নি আসলে কি হবে তাদের জবাব। যুক্তরাষ্ট্রের এমন বক্তব্যকে সর্বোচ্চ মিথ্যা বলে দাবি করেছে ইরান। পাশাপাশি পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থানরত মার্কিন বাহিনীর প্রতি হুমকি দিয়েছে তারা। ফলে এ সপ্তাহে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির মধ্যে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যে আলোচনা হওয়ার আশা জেগে উঠেছিল, তা মিইয়ে গেছে। ইরানকে দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগকে প্রত্যাখ্যান করেছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্বাস মুসাভি। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ওইসব বক্তব্য হলো অন্ধ ও মিথ্যায় ভরা। তিনি আরো বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সর্বোচ্চ চাপ সৃষ্টির নীতি গ্রহণ করেছে। তাতে ব্যর্থ হয়ে তারা সর্বোচ্চ মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে। ওদিকে সৌদি আরবে দুটি তেলক্ষেত্রে হামলার দায় আবারও স্বীকার করেছেন হুতি নেতা মুহাম্মাদ আল বুখাইতি। তিনি বার্তা সংস্থা এপিকে বলেছেন, সৌদি আরবের বিমান বাহিনী যাতে টার্গেটে হামলা করার ক্ষেত্রে ঝুঁকিতে পড়ে সে জন্য তারা ওই হামলা চালিয়েছেন। তবে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু বলেন নি। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, ইয়েমেন থেকে হামলা হওয়ার কোনো প্রমাণই নেই। ওই ইয়েমেনে সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন জোট চার বছরের ওপরে যুদ্ধ করছে হুতিদের বিরুদ্ধে। একে সৌদি আরব ও প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানের মধ্যে একটি প্রক্সি যুদ্ধ হিসেবে দেখা হয়।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us