নিঃস্ব হয়ে সৌদি আরব থেকে ফিরেছেন ১৭৫ বাংলাদেশি কর্মী। রোববার রাত ১১টা ৭ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইন্সের এসভি-৮০৪ ফ্লাইটে করে তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। একেবারে খালি হাতে দেশে ফেরা এসব কর্মীদের ওয়েজ আর্নাস কল্যাণ বোর্ডের সহযোগিতায় ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম বিমান বন্দরে খাবার সরবরাহসহ নিরাপদে বাড়ি পৌঁছানোর জরুরি সেবা দিয়েছে। ফিরে আসা এই ১৭৫ জনের একজন চাঁদপুরের বাবুল হোসেন। তার অভিযোগ, সৌদিতে ৬ মাসের বৈধ আকামা থাকা সত্ত্বেও কর্মস্থল থেকে ধরে তাকে দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। তার কোন কথা শোনেনি সে দেশের প্রশাসন।শুধু বাবুল নয়, এ ধরনের নানা অভিযোগ নিয়ে তার সঙ্গে একই ফ্লাইটে ফেরেন ১৭৫ বাংলাদেশী। তাদের কেউ খালি পায়ে, কারও মুখে এবড়োথেবড়ো দাঁড়ি, মুখে ক্লান্তির ছাপ, কেউবা ফিরেছেন কর্মস্থলের পোশাকেই। তবে তাদের সকলের হাত ছিলো খালি। একবারে শুণ্য হাতে, নিঃস্ব হয়ে ফিরেছেন তারা। ফেরত কর্মীরা জানান, প্রতিদিন শত শত কর্মীকে সেদেশের প্রশাসন গ্রেপ্তার করছে। রিয়াদ ডিপার্টেশন ক্যাম্পে এখনও হাজার খানেক বাংলাদেশী কর্মী রয়েছেন। টাঙ্গাইলের আলিম, মনির হোসেন, নরসিংদীর মো. জোবাইর, লক্ষিপুরের ফরিদ, মুন্সিগঞ্জের শরিফ হোসেন, মেহেরপুরের সেলিম রেজাসহ অনেকের অভিযোগ তাদের বৈধ আকামা থাকা সত্ত্বেও তাদের জোরপূর্বক ধরে জেলখানা পাঠিয়ে দিচ্ছে। এরপর কিছুদিন সেখানে রেখে দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে। কয়েকজন কর্মীর অভিযোগ, তাদের কফিল (মালিক) আকামা নতুন করে নবায়ন করেনি বা আকামা বাতিল করে দিয়েছে। ফলে তাদের আর সেদেশে থাকতে দেয়া হচ্ছে না। এক্ষেত্রে সৌদিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস তাদের কোন সহযোগিতা করেনি বলেও অভিযোগ করেন ফিরে আসা এসব কর্মীরা। তারা বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে এখনই ব্যবস্থা না নিলে বড় সমস্যা তৈরি হতে পারে সৌদি আরবের শ্রমবাজারে।