নিষিদ্ধ ঘোষণার পরও ট্রেনের ছাদে ওঠায় ৬ যাত্রীকে জরিমানা করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। রোববার সকালে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে সুবর্ণ এক্সপ্রেস, চট্টলা এক্সপ্রেস, বিজয় এক্সপ্রেস, উদয়ন এক্সপ্রেস, মেইল ট্রেনে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহফুজা জেরিন অভিযানে নেতৃত্ব দেন। এতে রেলওয়ে আইনের ১২৯ ধারায় এবং পাবলিক প্লেসে ধূমপান করায় ৪ জনকে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৪ ধারায় মোট ২ হাজার ৫৫০ টাকা জরিমানা করা হয় বলে জানান ম্যাজিস্ট্রেট মাহফুজা জেরিন। তিনি বলেন, রোববার সকাল থেকে ট্রেনের ছাদে উঠে ভ্রমণ সমপূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ বিষয়ে সকল স্টেশনেও নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু স্টেশনে এসে দেখা যায়, ট্রেনের ছাদে কিছু যাত্রী উঠে বসে আছেন এবং পাবলিক প্লেসে কিছু যাত্রী ধূমপান করছেন। তাই তাদেরকে রেলওয়ে আইনের ১২৯ ধারায় এবং ধূমপান বা তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৪ ধারায় মোট ২ হাজার ৫৫০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, রোববার থেকে ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ সমপূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে রেলওয়ে। ট্রেনের ছাদে উঠে ভ্রমণ করলে, সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড প্রদান করা হবে। ১লা সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হওয়ার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সব রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছে দেয়া হয়েছে নোটিশ। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মো. শরিফুল আলমের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ছাদে ভ্রমণকারী এবং ভ্রমণে উৎসাহ ও সহযোগিতা প্রদানকারী সবাই সমান অপরাধী। ১৮৯০ সালের রেলওয়ে আইনের ১২৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী, যদি কোনো ব্যক্তি বিপজ্জনক বা বেপরোয়া কার্যের দ্বারা অথবা অবহেলা করে কোনো যাত্রীর জীবন বিপন্ন করে। তবে ওই ব্যক্তি এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে।