ইংল্যান্ডের সঙ্গে বাউন্সার যুদ্ধে নামছে না অস্ট্রেলিয়া

মানবজমিন প্রকাশিত: ২২ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

অ্যাশেজ সিরিজে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন জফরা আর্চার। লর্ডসে নিজের অভিষেক টেস্টে গতি আর বাউন্সারে অজি ব্যাটসম্যানের পরীক্ষা নিয়েছেন বার্বাডোজে জন্ম নেয়া এই ইংলিশ পেসার। তার বাউন্সারের আঘাতে অস্ট্রেলিয়ার সেরা ব্যাটসম্যান স্টিভেন স্মিথ ছিটকে গেছেন তৃতীয় টেস্টে। হেডিংলিতে আজ শুরু হচ্ছে ম্যাচটি। নিঃসন্দেহে এই ম্যাচেও অজি ব্যাটসম্যানদের বাউন্সারে কাবু করতে চাইবেন আর্চাররা। তবে অস্ট্রেলিয়ার প্রধান কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার বলেছেন, ইংল্যান্ডের সঙ্গে বাউন্সার যুদ্ধে জড়ানোর কোনো ইচ্ছা নেই তাদের। পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে অস্ট্রেলিয়া।অস্ট্রেলিয়ার চাইলে মিচেল স্টার্ককে দিয়ে আর্চারের বাউন্সারের জবাব দিতে পারে। প্রথম দুই টেস্টে খেলানো হয়নি বাঁহাতি এই গতি তারকাকে। কিন্তু ল্যাঙ্গারের পরিকল্পনা ভিন্ন। কীভাবে জয় পাওয়া যাবে, সেটাই ভাবছেন এই কোচ। গতকাল ল্যাঙ্গার বলেন, ‘আমরা জানি ইংল্যান্ডের পরিকল্পনা কী? তবে ইংল্যান্ডকে হারানোর জন্য কোন পরিকল্পনা দরকার তাও আমাদের জানা আছে। আমরা কখনোই এমন কিছু করবো না, যা আমাদের আবেগতাড়িত করে একের পর এক বাউন্সার করার জন্য উদ্বুদ্ধ করবে। আমরা এখানে টেস্ট জিততে এসেছি, কয়টা হেলমেট ভাঙতে পারলাম সেই হিসাব করতে আসিনি। এটাই সত্যি, আমরা শুধু ম্যাচটাই জিততে চাই এবং সেজন্য আমাদের পরিকল্পনা মোতাবেকই এগোবো আমরা।’ অতীতের চেয়ে অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান দল অনেক কৌশলী বলে মনে করেন ল্যাঙ্গার। তিনি বলেন, ‘মাইক আথারটন (ইংল্যান্ডর সাবেক অধিনায়ক) সেদিন দারুণ এক কথা বলেছেন। এই অস্ট্রেলিয়া দল আসলেই অন্যরকম। আগে দেখা যেতো নিজেদের বক্ষ উদাম করে বোলিং করতাম আমরা, মোচ রাখতাম এবং যত জোরে সম্ভব বোলিং করার চেষ্টায় থাকতাম। তবে বর্তমান দলটা এত কঠিন নয়। আমরা এখানে টেস্ট জিততে এসেছি। ব্যাটসম্যানদের হাতে, ঘাড়ে কালো দাগ ফেলে নিশ্চয়ই ম্যাচ জেতা যাবে না।’হেডিংলিতে বাউন্সার খুব একটা কার্যকর হবে বলেও মনে করছেন না ল্যাঙ্গার। তিনি বলেন,‘আমরা এমনভাবে দল সাজাবো যাতে করে আমরা জিততে পারি। এটা ভিন্ন মাঠ, উইকেট এখানে ধীরগতির হবে। অন্য মাঠের তুলনায় এখানে বল হাতে গতির ঝড় তোলা সহজ হবে না। আমি যা বুঝতে পেরেছি এখানের উইকেট দেখে, তা সবাইজে জানিয়েছি। তবে বাউন্সার অবশ্যই যেকোনো বোলারের বড় একটা অস্ত্র হবে। যদি এটা কোনো ব্যাটসম্যানকে আউট করতে সাহায্য করে, তাহলে আমরা অবশ্যই বাউন্সার করবো। অন্যথায় নিজেদের পরিকল্পনাতেই থাকবো।’কনকাশন থেকে বেরিয়ে আসতে না পারায় আজ স্মিথ খেলছেন না। যা অস্ট্রেলিয়ার জন্য অনেক বড় ক্ষতি। এজবাস্টনে প্রথম টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরিতে দলকে জিতিয়েছিলেন স্মিথ। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসেও অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ইনিংস (৯২) খেলেন সাবেক এই অধিনায়ক। ল্যাঙ্গার অবশ্য আশাবাদী যে, স্মিথের অভাব বোধ হবে না হেডিংলিতে। আর লর্ডসে দ্বিতীয় ইনিংসে স্মিথের বদলি নেমে মার্নাস লাবুশান ৫৯ রানের ইনিংস খেলে প্রমাণ করেছেন, স্মিথের অভাব ঘুচানোর মতো ক্রিকেটার আছে অস্ট্রেলিয়ার।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us