মাগুরায় কামার পল্লীতে ব্যস্ততা বেড়েছে

মানবজমিন প্রকাশিত: ১০ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

শেষ মুহূর্তে টুং টাং শব্দে জমে উঠেছে মাগুরার কামার পল্লী। দম ফেলার সময় নেই মাগুরার কামারদের। কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে কামার পল্লীগুলোতে হাতুড়ি পেটানোর টুং টাং শব্দ। কেউ আসছে নতুন দা, ছুরি, বঁটি কিনতে। শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত একই ব্যস্ততা কামার পল্লীতে। দম ফেলার সময় নেই তাদের। বছরের অন্য সময়টা কাজ কম থাকলেও কোরবানির এই সময়টা ব্যস্ততা বেশি বাড়ে। পশু জবাই করার জন্য ছুরি কিনতে এসেছেন মাগুরা সদর উপজেলার ছোনপুর গ্রামের ইয়াকুব মোল্যা। কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, এবার ঈদে একটা ছাগল কোরবানি দেব। সেজন্য বাড়িতে থাকা ছুরি শান দিতে এসেছি। দা, ছুরি, বটি বিক্রেতা মো. মিল্টন হোসেন বলেন, ৪ থেকে ৫ বছর আমি পশু কোরবানির জন্য নানারকম ছুরিসহ অন্যন্যা জিনিস বিক্রি করি। চামড়া ছাড়ানো একটি ছুরি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। বেচাকেনা ভালোই হচ্ছে। অপর ক্রেতা আড়ুয়াকান্দি গ্রামের রফিকুল ইসলাম জানান, গরু জবাই করার জন্য ৮০০ টাকা দিয়ে আমি একটি ছুরি কিনেছি। গত বছরের তুলনায় এবার একটু দাম বেশি বলে মনে হচ্ছে।মাগুরার কাটাখালি হাটে গিয়ে দেখা যায় লোহার প্রকারভেদে স্প্রিং লোহার কেজি ৭০০ টাকা, রেল পাতির লোহা ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হয়। এছাড়া পশুর চামড়া ছাড়ানো ছুরি ১৫০ থেকে ২০০, পশু জবাইয়ের ছুরি ১০০০ হাজার থেকে ৮০০ টাকা, বঁটি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে পশু জবাই, চামড়া ছাড়ানো ও মাংস তৈরির জন্য কামারশালায় তৈরি করা অস্ত্রই প্রধান ভরসা। তাই ব্যস্ত সময় পার করছেন মাগুরার কামার শিল্পীরা। সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে। এ বছর তাদের কাজের চাপ অন্যান্য বছরের চেয়ে অনেক বেশি। তাদের তৈরি অস্ত্র গুলির মধ্যে রয়েছে চাপাতি, দা, বড় ছুরি, ছোট ছুরি, কুড়াল চিকন চাকুসহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র। যদিও উপকরণের অভাব, কারিগরদের স্বল্প মুজুরি, বিক্রি মূল্য কম, কয়লার দাম বেশিসহ প্রতিকূল পরিস্থিতিতে দিন কাটাচ্ছে তারা। মাগুরা সদর উপজেলা, শ্রীপুর উপজেলা, শালিখা উপজেলা ও মোহাম্মাদপুর উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে কোরবানি গবাদিপশু জবাই করতে এবং মাংস তৈরিতে দা, কুড়াল, ছুরি, কাটারি, বেশি প্রয়োজন। এগুলো তৈরিতে কামার পাড়াগুলোতে রাতভর টু টং শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে। আধুনিক প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের প্রসারের ও বহুমাত্রিক সমস্যার কারণে গ্রামবাংলার সেই কামার শিল্প আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। এক সময় এ ৪ উপজেলায় চার শতাধিক পরিবার এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত ছিল। মাগুরার আঠারোখাদা, মাটিকাটা, নাকোল, শতখালি, অলোমখালি, নাগরা, শিরগ্রাম, বড়িয়ালা, দড়িমাগুরা, রাউতাড়া পুলিশ লাইনসহ মাগুরাতে প্রায় শতাধিক পরিবার এ পেশার সঙ্গে জড়িত রয়েছে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us