You have reached your daily news limit

Please log in to continue


ছুটির আকর্ষণ, ছুটির বিড়ম্বনা

আধুনিক মানুষের জীবন নানা ব্যস্ততায় মোড়ানো। প্রয়োজন মেটানোর তাগিদে সারাক্ষণ নানা কাজে ছোটাছুটি করতে গিয়ে একঘেয়েমি আর ক্লান্তি আসে খুব সহজেই। আসে অবসাদ। তখন মানুষের শ্রান্ত-ক্লান্ত প্রাণ একটু অবকাশের জন্য উদ্‌গ্রীব হয়ে ওঠে। কর্মময় জীবনকে ছুটি দিয়ে মন খোঁজে একটু নিভৃত শান্তি। তাই ছুটির জন্য আমাদের মন ব্যাকুল হয়। প্রাত্যহিকতার কারাগার থেকে একটু বাইরে বের হওয়ার ফুসরত মেলে।

ঈদের ছুটি আমাদের জীবনে সেই সুযোগ করে দেয়। ঈদে ঘরে ফেরার ব্যাপারটি সামনে ফটিকের কথা মনে পড়ে। সেই ফটিক, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ছুটি’ গল্পের ‘বালকদিগের সর্দার’ ফটিক চক্রবর্তী। যে ফটিক বিলাপরত মায়ের কান্নার জবাবে বলেছিল, ‘মা, এখন আমার ছুটি হয়েছে মা, এখন আমি বাড়ি যাচ্ছি।’ ‘ছুটি’ গল্পের ফটিক মায়ের কাছে যেতে চাইলে মামা বিশ্বম্ভরবাবু তাকে বলেছিলেন, পূজায় স্কুল ছুটি হলে বাড়ি যাওয়া যাবে।

আর আমাদের দেশে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে যাঁরা চাকরি করেন, তাঁরা তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষা করেন কখন ঈদের ছুটি শুরু হবে। আমাদের দেশে দুই ঈদের ছুটিতে কোটি কোটি ‘ফটিক’ নাড়ির টানে বাড়ি ফেরেন, তাঁরা তো মায়ের কাছেই ফেরেন। ফেরেন বোনের কাছে, ভাইয়ের কাছে, বন্ধুর কাছে। স্বামী ফিরে যান বউয়ের কাছে। বাবা যান আদরের সন্তানের কাছে। মাটির কাছেও ফেরেন।

এই ফেরাটা আমাদের অভ্যাস। পরিবারের সবার সঙ্গে মিলিত হওয়ার একটা দুর্নিবার আকাঙ্ক্ষা আমাদের মধ্যে কাজ করে। এর জন্য যারপরনাই দুর্ভোগ পোহাতে হয়। পোহাতে হয় বেহাল সড়কে পথে পথে চরম ভোগান্তিও। সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট। বাস-ট্রেনের শিডিউলেও বিপর্যয় ঘটে। এতসব দুর্ভোগ উপেক্ষা করে মানুষ ঈদ-উৎসবের জন্য নাড়ির টানে বাড়ি ফেরে।

বসে, দাঁড়িয়ে, প্রয়োজন হলে হেঁটে আপনজনের কাছে পৌঁছাতেই হবে। উৎসবে যাঁরা রাজধানী থেকে গ্রামে ফিরতে চান, তাঁদের সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয় আগাম টিকিট সংগ্রহ করতে গিয়ে। দ্বিগুণ ভাড়া দিয়েও কাঙ্ক্ষিত টিকিট মেলে না। ফিরতেও একই বিড়ম্বনা। সঙ্গে যোগ হয় বাস খাদে পড়া, নানা দুর্ঘটনা অথবা ছিনতাইকারী, অজ্ঞান পার্টি-মলম পার্টির খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন