You have reached your daily news limit

Please log in to continue


সিগন্যাল সার্কাসে জাপা

নির্বাচনের পরও সার্কাস শোর মতো রাজনৈতিক বিনোদন অব্যাহত রেখেছে জাতীয় পার্টি। তা দলটি গোপন রাখছে না। কখনো মুখ ফসকে, কখনো পরিস্থিতির অনিবার্যতায় জাপা নেতারা নিজেরাই তা ফাঁস করে দেন। দীর্ঘদিনের চর্চাও একটি ব্যাপার। এখন একদিকে বলছেন, সরকারের দিক থেকে বিরোধী দল হওয়ার সিগন্যাল এখনো মেলেনি। আরেকদিকে বিরোধীদলীয় নেতা, উপনেতা, চিফ হুইপের নাম ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে উপরোক্ত ৩ পদে পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের, কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর নাম। আবার মহাসচিব বলছেন, নৈতিকভাবে জাপাই সংসদে বিরোধী দল। স্বতন্ত্ররা আওয়ামী লীগেরই লোক। আরেক বাক্যে বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হলে জাতীয় পার্টি আরও ১৫-২০টা সিট বেশি পেত। আওয়ামী লীগের বিপক্ষে প্রতিবাদ করার মতো ক্ষমতা আমাদের (জাপার) নেই, সমানে সমান না হলে প্রতিবাদ করা যায় না। এর বিপরীতে চেয়ারম্যান বলছেন, তারা এবার সত্যিকার বিরোধী দল হবেন। কঠোর প্রতিবাদী হবেন।

আগামী ৩০ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন বসবে। এই অধিবেশনে জানা যাবে কারা হচ্ছে সংসদে বিরোধী দল। তবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সংসদে অপজিশন কে হবে বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, নির্বাচনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পাওয়া রাজনৈতিক দলই হবে প্রধান বিরোধী দল। স্বতন্ত্ররা স্বতন্ত্রই আছেন। দল যদি বলেন, তাহলে জাতীয় পার্টি। তবে বিরোধী দল হিসেবে জাপাকে স্বীকৃতির বিষয়টি স্পিকারের ওপর নির্ভর করছে।

বিনোদিত হওয়ার মতো আচানক কথা-কাজ সাপ্লাই জাতীয় পার্টির একটি বৈশিষ্ট্য। এক ধরনের পুঁজি বা বিনিয়োগও। জাপায় যার যখন মন যা চায় বলা যায়, করাও যায়। অব্যাহতি দিয়ে দেওয়া যায়। আবার তা তুলে নেওয়াও যায়। এ সৌন্দর্য চর্চার অংশ হিসেবে নির্বাচনের টাকা ভাগাভাগি, টাকা মেরে দেওয়ার মতো কাণ্ডকীর্তি জানান দিতেও তাদের মুখে বাধেনি। বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয় ঘেরাও করে নিম্নমানের আচরণ, মহাসচিবের জাতগুষ্টি, স্বভাব-চরিত্র ফাঁস করাও হয়েছে। সঙ্গে চেয়ারম্যান কাদের, মহাসচিব চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান আনিসকে সরকারি বিশেষ কোটায় জিতিয়ে আনাসহ আরও অনেক কিছু। এর জেরে বহিষ্কার বা অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে কয়েকজনকে। জাপায় এটাই বাস্তবতা। পুরোটা সরকার বা বাইরের বাটন বা রিমোর্টে হয় এমন নয়। দলের নেতারা স্বপ্রণোদিত হয়েও তা করেন। করে আসছেন। এতে মাঝেমধ্যে চরম বিভক্তি আসে। পার্টি ভাঙে। এ পর্যন্ত ৬/৭ বার ভেঙেছে। বর্তমানে বিভিন্ন নামে জাতীয় পার্টি আছে এক হালির বেশি, অন্তত ৫টি। আর সংসদে এবার প্রতিনিধিত্ব আছে মাত্র একটির। নেতাদের পাশাপাশি দলটির কর্মীরাও এতে অভ্যস্ত । তাদের কাছে এটি তেমন ঘটনা নয়। ক্ষমতাসীনদের জন্য এটি এক ধরনের সুযোগ। জাপাকে এখন আর নিয়ন্ত্রণ করতে হয় না। এরা নিজেই নিয়ন্ত্রিত ও ব্যবহৃত হতে উদগ্রীব-উতলা হয়ে থাকে। পাস দূরে থাক, ফেল নিয়েই টানাটানির এ পর্যায়ে এসে জাতীয় পার্টির এবার বিরোধী দল হওয়া নিয়েই টানাটানি। আর ঘটনার পরম্পরায় এখন সরকারকেই বিরোধী দল ঠিক করে দিতে হচ্ছে। সরকারে কে আসছে বা থাকছে এবার এ নিয়ে প্রশ্ন ছিল না। এবার জটিলতা  বিরোধী দল নির্ণয় নিয়ে। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন