You have reached your daily news limit

Please log in to continue


ভারতের হারে কেন এমন অভব্য আচরণ

দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে দেশ ভাগ হয়ে পাকিস্তানে অন্তর্ভুক্ত হতে বাঙালি মুসলিম সমাজে যে আগ্রহের আতিশয্য দেখা গিয়েছিল তা ম্রিয়মাণ হতে বেশি সময় লাগেনি। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষণ, পীড়ন আর বঞ্চনার ক্রমবর্ধমান কার্যক্রমে হতাশ হয়ে মোহভঙ্গ হয় আপামর জনসাধারণের। আন্দোলন-সংগ্রাম দানা বাঁধতে শুরু করে এবং যার চূড়ান্ত পরিণতি আমাদের গৌরবময় মহান মুক্তিযুদ্ধ। আমরা অর্জন করি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র এবং উড্ডীন করতে সক্ষম হই একটি লাল-সবুজ পতাকা।

যে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় পুরো দেশ এক হয়েছিল একাত্তরে, অকুতোভয় হয়েছিল মুক্তিকামী জনতা, সেই চেতনা লোপ পেতে শুরু করে এ দেশে রয়ে যাওয়া পাকিস্তানি প্রেতাত্মাদের প্রতিশোধপরায়ণতার মধ্য দিয়ে। পঁচাত্তরের পর উল্টো পথে হাঁটতে শুরু করে বাঙালির ইতিহাস, মাথাচাড়া দিয়ে জেগে উঠতে শুরু করে পুরোনো শকুনেরা। আঘাত আসতে শুরু করে বাঙালির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ওপর। চতুরতার সঙ্গে ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতির চর্চা শুরু হয়, বাড়তে থাকে ধর্মান্ধতা।

দীর্ঘ দুই দশকের এই অপরাজনীতির সুযোগে অধিকাংশ মানুষের মন-মগজে ভারতবিদ্বেষী মনোভাব উন্মেষিত হয়। তারা এই মনোভাব পোষণ করে যে পাকিস্তান নামের মুসলিম রাষ্ট্রটিকে ভেঙে ফেলার নেপথ্যের কারিগর ভারত এবং সেটি করে নিজ স্বার্থে। তারই সংস্করণ মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠকেরা ছিলেন ভারতের দালাল।

পঁচাত্তর থেকে ছিয়ানব্বই—এই দুই দশকে বড় হওয়া প্রজন্ম আজ মাঝ বয়সী। অধিকাংশের বয়স ৫০ থেকে ৬০-এর মধ্যে। তাঁদের সন্তানসন্ততিদের বয়স ৩০ থেকে ৪০-এর মধ্যে এবং কারও কারও আছে ১৫-২০ বছরের নাতি-নাতনি! ফলে পাকিস্তান-অনুরাগী যে সংখ্যাটি একাত্তরে ছিল ৫ থেকে ১০ ভাগের মধ্যে, পারিবারিক আবহের কারণে সেই সংখ্যা যদি বলি আজ ৪০ ছুঁই ছুঁই, তাহলে বোধকরি ভুল বলা হবে না। ফলে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ এবং বিপক্ষ শক্তি খুঁজতে হয় আমাদের। এটা বড় দুঃখজনক, ভীষণ লজ্জার।

এই যে পাকিস্তানি ভাবাধারার এই দর্শন ছড়িয়ে পড়েছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে, মূলত তারাই তীব্র ভারতবিদ্বেষী এবং এই তারাই ২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ভারতের হারে উল্লসিত হয়েছে, কুরুচিপূর্ণ কমেন্ট করে, কনটেন্ট বানিয়ে বিদ্বেষ ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এতে সংগত কারণেই ভারতের ক্রিকেটপ্রেমী দর্শকেরা কষ্ট পেয়েছেন। পাওয়ারই কথা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন