You have reached your daily news limit

Please log in to continue


পোশাক শিল্পে নৈরাজ্য কাম্য নয়

সম্প্রতি দেশের তৈরি পোশাক শিল্পে নৈরাজ্য সৃষ্টির এক ধরনের পাঁয়তারা লক্ষ করা গেছে, যার পেছনে দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা জড়িত বলে অভিযোগ আছে। দেশের সিংহভাগ বৈদেশিক মুদ্রা আহরিত হয় তৈরি পোশাক রপ্তানির মাধ্যমে। সৌহার্দ-সম্প্রীতি-পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে এ শিল্পের প্রসার ও বিস্তার কর্মসংস্থানের জন্য অভূতপূর্ব সুযোগ সৃষ্টি করেছে। নগর-গ্রামীণ জনপদে বিশেষ করে কর্মক্ষম নারীদের কর্মপযোগী করার অপার সম্ভাবনার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসাবে এ শিল্প সর্বত্রই সমাদৃত। স্বল্পশিক্ষিত নারীরা অল্প সময়ের মধ্যে কারিগরি দক্ষতায় নিজেদের যোগ্যতা অর্জনের মাধ্যমে এ শিল্পকে করেছেন অধিকতর সমৃদ্ধ। বিশ্ববাজার ব্যবস্থা পর্যালোচনায় এটি স্পষ্ট, নানা প্রতিকূলতা ও অসম প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে চলতে হচ্ছে এ খাতের উদ্যোক্তাদের। ভিয়েতনাম, তুরস্ক, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ইত্যাদি দেশের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাংলাদেশ একক দেশ হিসাবে দ্বিতীয় স্থানে অধিষ্ঠিত।

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ‘ওয়ার্ল্ড ট্রেড স্ট্যাটিস্টিক্যাল রিভিউ ২০২৩’ শীর্ষক প্রতিবেদন মতে, বৈশ্বিক পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের বাজার হিস্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ ২০২২ সালে ৪ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে, যা বৈশ্বিক পোশাক রপ্তানির ৭ দশমিক ৯ শতাংশ। ২০২১ সালে বাজার হিস্যা ছিল ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। এ হিসাবমতে, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে বাংলাদেশের বাজার হিস্যা বেড়েছে ১ দশমিক ৫ শতাংশ। পক্ষান্তরে বাংলাদেশের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ভিয়েতনামের ২০২২ সালে তৈরি পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। ২০২১ সালে দেশটির বাজার হিস্যা ৫ দশমিক ৮ শতাংশের বিপরীতে ২০২২ সালে হয়েছে ৬ দশমিক ১ শতাংশ। এ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বরাবরের মতো বিশ্বে পোশাক রপ্তানিতে শীর্ষ স্থানে আছে চীন। ২০২২ সালে চীন ১৮২ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করে, যা মোট বাজারের ৩১ দশমিক ৬৭ শতাংশ। তবে ২০২১ সালের তুলনায় দেশটির বাজার হিস্যা কমেছে।

শিল্পে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি জোগানে বিশাল বিনিয়োগ, কাঁচামাল আমদানি এবং স্টক লটখ্যাত বিভিন্ন ঝুঁকি সামাল দিয়ে রপ্তানি বাজারে মালিকপক্ষের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। এক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোর ঋণ গ্রহণ এবং ঋণ পরিশোধে ব্যর্থতার দায়ে অনেকেই ঋণখেলাপি হিসাবে বিবেচিত। অনেক প্রতিষ্ঠানকে এ বাণিজ্যে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রাজনৈতিক অস্থিরতা, সামাজিক অসংগতি এবং উসকানিমূলক অপকৌশলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অনেক পোশাক কারখানা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। সমস্যাদির গভীরে প্রোথিত আনুষঙ্গিক জটিলতাগুলো ধারণায় আনা না হলে এ শিল্পকে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনাগুলো অনাবিষ্কৃত থেকে যাবে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক সহিংসতার সঙ্গে যুক্ত করে পোশাক শিল্পে অনাকাক্সিক্ষত কর্মকাণ্ড চালিয়েছে কতিপয় সুযোগ সন্ধানী। মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলন যৌক্তিকতা পায় তখনই, যখন মালিকপক্ষের অর্ডার ও আয়-উপার্জনে ভারসাম্য বিরাজ করে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন