You have reached your daily news limit

Please log in to continue


প্রস্তাবিত তিস্তা প্রকল্পের ভবিষ্যৎ কী

২০২৩ সালের ২ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রংপুরের এক মহাসমাবেশে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু ঘোষণা সত্ত্বেও আমার সন্দেহ হচ্ছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় সংসদ নির্বাচনের আগে ভারতের ভেটো উপেক্ষা করে বাংলাদেশ সরকার এ ব্যাপারে আর কোনো পদক্ষেপ নেবে না। গত ২ আগস্টের ঘোষণার পর সাড়ে তিন মাস পার হয়ে গেলেও তিস্তা প্রকল্প প্রস্তাবটি একনেকে উপস্থাপিত না হওয়ায় আমার সন্দেহকে অমূলক বলা যাচ্ছে না।

বর্ষাকাল শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি প্রকল্পের কাজ শুরু করা না হয়, তাহলে এর বাস্তবায়ন এক বছর পিছিয়ে যাবে। সে জন্য ২০২৪ সালের শুষ্ক মৌসুমের পুরোটাই কাজে লাগাতে চাইলে অবিলম্বে প্রকল্পটি একনেকে পাস করা ‘ফরজ’ বললে অত্যুক্তি হবে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় বহুদিন ধরে তোলপাড় করা একটি খবর, প্রস্তাবিত তিস্তা প্রকল্পটি চূড়ান্তভাবে প্রস্তুত হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও ভারতের প্রবল আপত্তির মুখে সেটা অনুমোদনের জন্য একনেকে উপস্থাপন করা হচ্ছে না। ২০২২ সালে একটি খবর সরকারি মহল থেকেই প্রচার করা হয়েছিল, ভারতের আপত্তি সত্ত্বেও ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে তিস্তা প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। এরপর দীর্ঘদিন থেকে সরকারিভাবে আর কোনো নড়াচড়া পরিলক্ষিত হচ্ছে না। আওয়ামী লীগ জানে, ভারত সরকার বাংলাদেশের নির্বাচনকে তাৎপর্যপূর্ণভাবে প্রভাবিত করতে সক্ষম।

তাই প্রধানমন্ত্রীর সংক্ষিপ্ত আশ্বাস সত্ত্বেও ভারতীয় ভেটো যে এবারও তিস্তা প্রকল্পকে অন্ততপক্ষে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত আটকে দেবে, সেটাই নিশ্চিত মনে হচ্ছে। (ইতিমধ্যে খবর প্রকাশিত হয়েছে যে ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ দিল্লিতে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠকে তিস্তা চুক্তির বিষয়টি আলোচনার অ্যাজেন্ডায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি)।

কারণ, সম্প্রতি ভারত থেকে খবর বেরিয়েছে যে ২০১১ সাল থেকে ঝুলে থাকা বাংলাদেশ-ভারত তিস্তা চুক্তি নিয়ে ভারতের লোকসভার সংসদীয় কমিটিতে সর্বদলীয় একটি সভা হয়েছে। ওই সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভারতের পক্ষ থেকে তিস্তা চুক্তির নতুন প্রস্তাব উত্থাপনের কথা জানা যাচ্ছে, যেখানে বাতিল হয়ে যাওয়া ২০১১ সালের চুক্তির ৫০-৫০ শতাংশ পানির হিস্যা বাংলাদেশ ও ভারতের ভাগে দেওয়ার পরিবর্তে এখন নাকি ৫৫ শতাংশ ভারত এবং ৪৫ শতাংশ পানি বাংলাদেশকে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, এই নতুন প্রস্তাবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্মতি পাওয়া গেছে। নতুন এই প্রস্তাবের ব্যাপারে সর্বশেষ পরিস্থিতি জানা যায়নি। কিন্তু এই অন্যায্য ও একপক্ষীয় প্রস্তাবে বাংলাদেশ সরকার রাজি হলে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে পারে। তাই নির্বাচনের আগে এ-ব্যাপারে আর কোনো পদক্ষেপ যে গৃহীত হবে না, সেটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।

উপরন্তু গজলডোবা বাঁধের উজানে পশ্চিমবঙ্গ সরকার আরও দুটি খাল খননের কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে। ফলে বাংলাদেশ সীমান্তে ঢোকার আগেই তিস্তার পানি যে আরও অনেক কমে যাবে, সেটাও নিশ্চিতভাবে বলা যায়। এই খাল খননের মাধ্যমে ভারত তিস্তা চুক্তির কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দিয়েছে বললে অত্যুক্তি হবে না। তাই তিস্তা চুক্তি হলেও বাংলাদেশের খুব বেশি লাভ হবে না। এর জন্য বাংলাদেশের আর অপেক্ষা করার কোনো আবশ্যকতা আছে বলে মনে করি না; বরং তিস্তা মহাপ্রকল্প বাস্তবায়নই এখন বাংলাদেশের অগ্রাধিকার দাবি করে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন