You have reached your daily news limit

Please log in to continue


ক্লাইভের প্রেতাত্মার প্রত্যাগমন

রবার্ট ক্লাইভ ভারতবর্ষে এসেছিলেন ১৭৪৪ খ্রিষ্টাব্দে, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একজন কেরানি হিসেবে। ভারতবর্ষে এসেই তিনি এক বিশাল রত্নভান্ডারের সন্ধান পান। কলকাতায় এসে সেখান থেকে কাশিমবাজার গিয়ে তিনি বুঝতে পারেন বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার রাজধানী মুর্শিদাবাদে গভীর প্রাসাদ ষড়যন্ত্র চলছে। যাঁরা ধনকুবের, যেমন জগৎ শেঠ, উমিচাঁদ, রায় দুর্লভ তাঁরা নবাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন এবং স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মীর জাফর আলি খাঁও এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত আছেন। সেই সঙ্গে আছেন নবাব আলিবর্দীর জ্যেষ্ঠ কন্যা ঘসেটি বেগম। ক্লাইভ বুঝতে পারলেন এর মধ্য থেকে ব্রিটিশদের অবাধ বাণিজ্যের জন্য প্রধান বাধা হচ্ছেন নবাব সিরাজউদ্দৌলা। কিন্তু এই নবাবকে ধনকুবের এবং মন্ত্রিসভার অনেকেই গ্রহণ করছেন না। এই ষড়যন্ত্রে প্রায়ই যোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত নানা যুদ্ধবিগ্রহের মাধ্যমে মুর্শিদাবাদ কবজা করে ফেললেন ক্লাইভ।

নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে হত্যা করার পর মুর্শিদাবাদের কোষাগার তাঁর নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিলেন। ব্যাপক লুণ্ঠন চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ, সোনাদানা লুটপাট করে তিনি ইংল্যান্ডে পাঠিয়ে দেন। এর মধ্যে কিছু ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে ঝামেলা হলেও তাঁর ব্যক্তিগত সম্পদ ফুলেফেঁপে ওঠে। এ অবস্থা থেকে তিনি দিল্লির স্বীকৃতিস্বরূপ সনদটি তাঁর ব্যক্তিগত নামে করিয়ে নেন। কোম্পানির শাসন ভারতবর্ষে বিস্তার লাভ করে। একের পর এক লুণ্ঠন করে ভারতবর্ষকে দরিদ্র করে ফেলে। অন্যদিকে ইংল্যান্ডের প্রাচুর্য দিন দিন বাড়তেই থাকে। অর্থ, মূল্যবান সোনা, হীরা, জহরত, মণিমুক্তা এসব পাচার করে ইয়র্কশায়ারের ছিঁচকে মাস্তান ক্লাইভ ‘লর্ড’ উপাধিতে ভূষিত হন। সম্পদ পাচারের ক্ষেত্রে তাঁর আন্তর্জাতিক খ্যাতি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।

পরবর্তীকালে এমন শাসনব্যবস্থা চালু হয়, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতে একচ্ছত্র অধিপতি হিসেবে সম্পদ পাচারে একটা বড় সুযোগ তৈরি করে নেয়। এক শ বছরের বেশি সময় ধরে কোম্পানির শাসন চলে। এই শাসনকালে এ দেশের কাঁচামাল লুণ্ঠন করে ইংল্যান্ডে নতুন নতুন কারখানা চালু হয়। ভারতবর্ষের শাসনভার ইংল্যান্ডের সরকার গ্রহণ করলে এই সম্পদ লুণ্ঠনের প্রক্রিয়া নানাভাবে আরও প্রসারিত হয়। এই লুটেরারা ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষকে দরিদ্র রেখে দেশটাকে ধর্মের নামে দুই ভাগ করে সসম্মানে দেশে ফিরে যায়। বাংলার পূর্বাঞ্চল পূর্ব পাকিস্তান নাম ধারণ করে নতুন এক উপনিবেশে পরিণত হয়। দারিদ্র্যক্লিষ্ট এই পূর্ব বাংলা নানান আন্দোলন, সংগ্রাম এবং সবশেষে একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীকে বিদায় করতে সক্ষম হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন