নির্বাচন কমিশন (ইসি) আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে সরাসরি জমা নেওয়ার পাশাপাশি অনলাইনেও জমা নেবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে এই অ্যাপ চালু করার লক্ষ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮ সংশোধন করা হয়েছে। অ্যাপ তৈরির কাজও শেষ পর্যায়ে। এই অ্যাপ বানাতে সব মিলিয়ে খরচ হচ্ছে ২১ কোটি টাকার মতো। তবে এই অ্যাপ ব্যবহার করতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের। কারণ, রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা ঘরে বসে এই অ্যাপের মাধ্যমে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারলেও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বাধা হবে ১ শতাংশ ভোটারের সম্মতির প্রমাণস্বরূপ তাঁদের সইযুক্ত তালিকা। সংশোধিত বিধিমালা অনুযায়ী, স্বতন্ত্র প্রার্থীকে ওই তালিকা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময়ের আগেই সরাসরি রিটার্নিং বা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে পৌঁছে দিতে হবে। ইসির সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, অ্যাপ চালু করার মূল উদ্দেশ্য হলো মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে কোনো প্রার্থী যাতে বাধাপ্রাপ্ত না হন, তা নিশ্চিত করা। কিন্তু স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এই সুবিধা কাজে লাগাতে পারবেন না। কারণ, ভোটারদের সমর্থনসূচক তালিকার ভার বহন করার সক্ষমতা ওই অ্যাপের না থাকায় তা সরাসরি জমা দিতে হবে।
এ প্রসঙ্গে ইসি সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যদি ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরযুক্ত তালিকার স্ক্যান কপি আপলোড করেন, তাহলে ভলিউম বেড়ে যাবে।