You have reached your daily news limit

Please log in to continue


রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক গোটা ব্যবস্থাই পিতৃতান্ত্রিক

দুষ্টের দমন করার ক্ষমতা যাঁর হাতে, সেই বিচারপতিই এবার খুনি হয়ে গেলেন। তিনি হয়ে উঠলেন স্ত্রীর ঘাতক। যুক্তরাষ্ট্রের এক বিচারপতির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠল। তিনি মদ্যপ অবস্থায় স্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করেছেন। তাঁর বাড়ি থেকে পুলিশ ৪৭টি বন্দুক ও ২৬ হাজার গুলি উদ্ধার করেছে।

স্ত্রীকে হত্যার পর ফোন করে সহকর্মীকে বিচারপতি বলেন, ‘আগামীকাল আদালতে আসা হবে না, পুলিশের হেফাজতে থাকব।’ বাস্তবে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে তাঁকে তাঁর বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের সময় পুলিশও বিস্মিত হয়। কারণ ওই বিচারকের বাড়িটি রীতিমতো অস্ত্রের ভান্ডার। পুলিশ জানিয়েছে, ৭২ বছর বয়সী বিচারপতির নাম জেফরি ফার্গুসন। তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার অরেঞ্জ কাউন্টির সুপিরিয়র আদালতের বিচারপতি। হত্যা করেন স্ত্রী শার্লিকে (৬৫)। ঘটনার দিন বাড়ির কাছেই একটি রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। তবে এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। শার্লির আইনজীবী জানিয়েছেন, ঝগড়ার মধ্যেই বিচারপতি শার্লির দিকে গুলি ছোড়ার ভঙ্গি করেন। এরপর স্ত্রী তাঁকে বলেন, ‘আসল বন্দুক দিয়েই গুলি করো।’ এরপরই কোমর থেকে বন্দুক বের করে স্ত্রীর বুক লক্ষ্য করে গুলি চালান বিচারপতি ফার্গুসন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শার্লির। এরপর বিচারপতি নিজেই ৯১১ নম্বরে ফোন করেন। পুলিশ এসে তাঁর বাড়ি থেকে ৪৭টি বন্দুক ও ২৬ হাজার গুলি উদ্ধার করে। ২০১৫ সাল থেকে বিচারপতির দায়িত্ব পালন করা ফার্গুসন স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর আইনজীবীর দাবি, ফার্গুসনের স্ত্রীকে গুলি করার ইচ্ছা ছিল না। এটা নিছক একটা দুর্ঘটনা।

সমস্যা ওই একই। পিতৃতান্ত্রিকতা। বিচারপতি এমনিতেই ক্ষমতাবান। কিন্তু সেই ক্ষমতার ওপর তাঁর আস্থা নেই, যে জন্য বাড়িতে ৪৭টি বন্দুক ও ২৬ হাজার গুলির এক অস্ত্রাগার বানিয়ে রেখেছেন। হতে পারে তাঁর স্ত্রী স্বামীর ক্ষমতার কাছে নতি স্বীকার করেননি; যে জন্য বাগ্‌বিতণ্ডা ঘটেছে এবং বোঝা যায় সেটা প্রায়ই ঘটত। স্ত্রীর চ্যালেঞ্জ স্বামীর জন্য মেনে নেওয়াটা সহজ ছিল না; যে জন্য গুলি করেই প্রমাণ করে দিয়েছেন যে উপেক্ষার পাত্র তিনি নন। আদালতে বাদী-বিবাদী, উকিল-মক্কেল যাঁকে অত সমীহ করেন, তিনি হেরে যাবেন নিজের স্ত্রীর কাছে, স্বগৃহে? হতেই পারে না। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন