আশ্রয়ণ : মর্যাদাহীন মানুষের শান্তিনিকেতন

বাংলাদেশ প্রতিদিন মনজুরুল আহসান বুলবুল প্রকাশিত: ০৯ আগস্ট ২০২৩, ১৬:৫২

১. অভিধানে বলছে ‘আশ্রয়ণ’ শব্দের অর্থ : কারও আশ্রয় বা সাহায্য গ্রহণ করা বা কাউকে আশ্রয় বা সাহায্য প্রদান করার ক্রিয়া বা ভাব। বাংলাদেশে এই ‘আশ্রয়ণ’ দৃশ্যমান হয়েছে ঠিকানাবিহীন মানুষের ‘জমিসহ ঘরের মালিকানা’ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে।


কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ? আজ থেকে প্রায় শতবর্ষ আগে বেগম রোকেয়া সাখাওয়াৎ হোসেন লিখেছিলেন : ‘গৃহ বলিলে একটা আরাম বিরামের শান্তিনিকেতন বুঝায়- যেখানে দিবাশেষে গৃহী কর্মক্লান্ত শ্রান্ত অবস্থায় ফিরিয়া আসিয়া বিশ্রাম করিতে পারে। গৃহ গৃহীকে রৌদ্র বৃষ্টি হিম হইতে রক্ষা করে।  পশুপক্ষীদেরও গৃহ আছে। তাহারাও নিজ নিজ গৃহে আপনাকে নিরাপদ মনে করে।’


বেগম রোকেয়া এটুকু বলেই ক্ষান্ত হননি। তিনি দেখিয়েছিলেন গৃহ আরাম বিরামের শান্তিনিকেতন হলেও বৈষম্যমূলক সমাজে বিশেষত নারীদের চিত্রটি আরও করুণ। তাই তিনি লিখছেন : ‘আমাদের সামাজিক অবস্থার প্রতি দৃষ্টিপাত করিলে দেখি, অধিকাংশ ভারত নারী গৃহসুখে বঞ্চিতা। যাহারা অপরের অধীনে থাকে, অভিভাবকদের বাটীকে আপন ভবন মনে করিতে যাহাদের অধিকার নাই, গৃহ তাহাদের নিকট কারাগারতুল্য বোধ হয়। পারিবারিক জীবনে যে সুখী নহে, সে নিজেকে পরিবারের একজন গণ্য বলিয়া মনে করিতে সাহসী নহে, তাহার নিকট গৃহ শান্তিনিকেতন বোধ হইতে পারে না।’


খেয়াল রাখতে হবে বেগম রোকেয়া যে ভারত নারীদের কথা বলছেন তা অবিভক্ত ভারত, সে সময় বাংলাও তার অংশ।


২. সময় তো আর স্থির থাকে না, প্রতিনিয়ত বদলায়। এটাই প্রগতি। বেগম রোকেয়ার আরাম-বিরামের শান্তিনিকেতনের চিত্রটি ম্লান হয়ে যায় গৃহ সুখে বঞ্চিতা নারীদের দিকে তাকিয়ে দেখি। বিশেষত বাংলার দরিদ্র নারীদের চেয়ে কে আর বেশি এই সত্যটি বুঝতে পারেন। কিন্তু ওই যে, বললাম সময় পাল্টায়। আজকের বাংলাদেশের দিকে তাকালে মহীয়সী বেগম রোকেয়াও হয়তো বিস্মিত হতেন। বিস্মিত হতেন এ কারণে যে, বাংলার ঠিকানাবিহীন মানুষগুলো আজ ঠিকানা পাচ্ছেন, গৃহসুখ বঞ্চিতা নারীরা আজ নিজে জমির মালিক হচ্ছেন, গৃহের মালিক হচ্ছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us