You have reached your daily news limit

Please log in to continue


ছায়া ও মায়া

বঙ্গীয় প্রতিবেশ ব্যবস্থায় আষাঢ়-শ্রাবণ যদিও উপযুক্ততম মৌসুম; ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থেকে সমকালে আসা গাছ উপহার দেওয়ার খবরটিকে কেবল ঋতুচক্র দিয়ে বিবেচনার সুযোগ নেই। কোনো বাড়িতে নবজাতকের খবর পেলে ‘জনতার ঈশ্বরগঞ্জ’ সংগঠন যেভাবে দুটি চারাগাছ নিয়ে হাজির হচ্ছে, সেটা নিছক সাংগঠনিক তৎপরতা নয়। আর্থসামাজিক ও পরিবেশগত দিক থেকে এর তাৎপর্য সুদূরপ্রসারী।

প্রথমত, গাছ লাগাতেই হবে। আমাদের জাতীয় সংগীতে যদিও এ দেশের প্রতি আবেগ প্রসঙ্গে বৃক্ষছায়ার কথা বলা হয়েছে, বাস্তবে আমরা ক্রমেই সবুজহীন হয়ে পড়ছি। অথচ যে কোনো দেশের পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রাখতে মোট স্থলভাগের অন্তত ২৫ শতাংশ বনাঞ্চল থাকতে হয়। জাতিসংঘ কৃষি ও খাদ্য সংস্থার সর্বশেষ হিসাবে এ দেশে বনাঞ্চল ১৩ শতাংশ মাত্র। সরকারিভাবে আরেকটু বেশি দেখালেও সেই হিসাবের ফাঁকফোকরও বহুল আলোচিত। এই পর্যায়ে নাগরিকরা যদি গাছ লাগাতে এগিয়ে আসেন, তার চেয়ে উৎকৃষ্ট উদ্যোগ আর কী হতে পারে!

দ্বিতীয়ত, এ দেশে বৃক্ষরোপণ আন্দোলনের একটি সীমাবদ্ধতা হচ্ছে ফলদ গাছ কম থাকে। ফলের উৎপাদন বাড়ছে বটে, সেখানেও ‘বৃক্ষ’ কম; কলম কিংবা ‘ফসলি’ গাছ বেশি। ফলে প্রকৃতিতে বৃক্ষের বহুমাত্রিক অবদান অধরাই থেকে যায়। এর পরিবর্তে দেশীয় ফলদ গাছ লাগানো হলে প্রতিবেশ ব্যবস্থা ও জীববৈচিত্র্যও সমৃদ্ধ ও সম্প্রসারিত হয়। ফলফলাদির নিজস্ব চাহিদা মিটিয়ে জনসাধারণ অর্থনৈতিকভাবেও নির্ভরযোগ্য হতে পারে। ঈশ্বরগঞ্জের এ উদ্যোগে বনজ ও ফলদ গাছের চারা উপহারের মাধ্যমে সেই ভারসাম্য রক্ষা করতে চাওয়ার বিষয়টি লক্ষণীয়।

তবে বনজ বৃক্ষও যেন ‘আগ্রাসী’ প্রজাতির না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বৃক্ষরোপণের নামে দেশের প্রায় সর্বত্র ইউক্যালিপটাস, একাশিয়া প্রভৃতি বিদেশি প্রজাতির বৃক্ষ লাগিয়ে ইতোমধ্যে আমাদের প্রতিবেশ ব্যবস্থার যথেষ্ট ক্ষতি করা হয়েছে। এসব নিয়ে আলোচনার সময় অন্য যে বিষয়টি আমরা ভুলে যাই সেটা হচ্ছে– এক অঞ্চলের দেশীয় প্রজাতির বৃক্ষও অন্য অঞ্চলে গিয়ে ‘আগ্রাসী’ বিবেচিত হতে পারে। বৃক্ষরোপণবিষয়ক আন্দোলন বা সংগঠনগুলো এসব দিকে খেয়াল রাখলে আরও ভালো হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন