You have reached your daily news limit

Please log in to continue


শান্তির জন্য জনারণ্যে রোদন

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী সংগঠনের ‘শান্তি সমাবেশ’ এবং প্রধান বিরোধী দল বিএনপির ‘মহাসমাবেশ’ যদিও বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিতব্য, দুই পক্ষের সাজ সাজ রব ইতোমধ্যে স্পষ্ট। মঙ্গলবার সমকালে প্রকাশিত যুগল প্রতিবেদনে দেখা যাইতেছে, মহাসমাবেশে যোগ দিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ বাধার আশঙ্কায় বিএনপি নেতাকর্মী যদ্রূপ আগেভাগেই ঢাকায় প্রবেশ করিতেছেন; আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী তদ্রূপ ‘রাজপথ দখল’ করিবার প্রস্তুতিও আগাইয়া লইতেছেন। বিএনপি স্পষ্টতই গত বৎসর বিভাগীয় সমাবেশগুলির অভিজ্ঞতা স্মরণে রাখিয়াছে। ঐ সময় সমাবেশের পূর্বে সংশ্লিষ্ট বিভাগে ঘোষিত কিংবা অঘোষিত পরিবহন ‘ধর্মঘট’ প্রায় নিয়মিত হইয়া উঠিয়াছিল। অপরপক্ষে আওয়ামী লীগ সম্ভবত ২০১৩ সালে মতিঝিল শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশের নামে অবস্থান কর্মসূচির চিত্র বিস্মৃত হয় নাই। আমরা মনে করি, উভয় প্রকার প্রবণতাই অবিমৃষ্যকারিতা বলিয়া বিবেচিত হইবে। কারণ, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি আর পূর্ববৎ নাই। নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বাধা কিংবা বিঘ্ন যদ্রূপ গ্রহণযোগ্য হইবে না; তদ্রূপ শান্তিপূর্ণ সমাবেশের নামে অশান্তিতে উস্কানিও কেহ সমর্থন করিবে না।

 আমরা জানি, বাংলাদেশের রাজনীতিতে পাল্টাপাল্টি সভা-সমাবেশের আয়োজন এবং উহা ঘিরিয়া সহিংসতা নূতন নহে। এমন চিত্রও বিভিন্ন জনপদে প্রায়শ দেখা যায়, একই স্থানে দুই পক্ষ সমাবেশ আহ্বান করায় শেষ পর্যন্ত প্রশাসনকে ১৪৪ ধারা প্রয়োগ তথা উভয় পক্ষেরই সমবেত হইবার অধিকার কাড়িয়া লইতে হয়। মন্দের ভালো যে, সাম্প্রতিক মাসগুলিতে দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ঘিরিয়া এইরূপ পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটে নাই। কিন্তু ইহা নজিরবিহীন, চলতি মাসেই ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দল অন্তত তিন দফা পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দিয়াছে। গত ১২ জুলাই ঢাকায় মাত্র সার্ধ কিলোমিটার দূরত্বে দুই দলের ‘এক দফা সমাবেশ’ এবং ‘শান্তি সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হইয়াছিল। ১৮ ও ১৯ জুলাই দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত হইয়াছিল পাল্টাপাল্টি পদযাত্রা ও শোভাযাত্রা। ঐ দুই কর্মসূচি সম্মুখে রাখিয়া এই সম্পাদকীয় স্তম্ভেই আমরা উভয় পক্ষের কাছে শান্তির আহ্বান জানাইয়াছিলাম। কিন্তু প্রথমবার শান্তিপূর্ণভাবে কাটিলেও দ্বিতীয়বার সহিংসতা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয় নাই। লক্ষ্মীপুরে একজনের প্রাণহানিও ঘটিয়াছে। এইবার সমাবেশ ঘিরিয়াও আমরা শান্তিপ্রত্যাশী; সহিংসতা ও রক্তপাত নহে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন