You have reached your daily news limit

Please log in to continue


স্মার্ট বাংলাদেশ, ভেতর-বাহির

আওয়াজ উঠেছে যে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ ওই তাতেও সবচেয়ে বেশি সুবিধা হবে ওই আমলাতন্ত্রেরই। আমলারা মনে করে তারাই সবচেয়ে স্মার্ট। রাজনীতিকদের তুলনাতে তো অবশ্যই, ব্যবসায়ীদের তুলনাতেও। ওই স্মার্টরাই যদি ক্ষমতাধর ও আদর্শস্থানীয় হয় তাহলে অবস্থা যে আরও খারাপ হবে সেটা তো বলার অপেক্ষা রাখে না।

সরকারি দলের একজন সাংসদ ক'দিন আগে সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছেন, 'ডিসি ইউএনও'রাই যেন দেশের মালিক, আমরা এমপি'রা চলছি তাদের করুণায়'। করুণ কথা নিশ্চয়ই। কিন্তু যা বলেছেন সেটা মোটেই বানানো কথা নয়; একেবারে খাঁটি কথা, এবং অভিজ্ঞতাসঞ্জাত। তবে তিনি এটা বলেননি যে, যেভাবে চলছে তাতে আগামী বাংলাদেশে ওই স্মার্টরা আরও স্মার্ট হবেন।

প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ডিসি'দের যখন সম্মেলন হয় তখন তারা নিজেদের প্রত্যাশা ও দাবি-দাওয়ার কথা প্রকাশ্যেই জানায়। এবারও জানিয়েছে। এমনিতে লোকে দায়িত্বের ভার লাঘব করতেই চায়, ডিসি'রা কিন্তু সেটা চায়নি, তারা বরঞ্চ দায়িত্বের ভার বাড়াতেই চেয়েছে। তাদের দাবি 'উন্নয়ন' প্রকল্পের তদারকির দায়িত্ব তাদেরকে দেওয়া চাই। প্রকল্প যাচাইবাছাই, প্রস্তুতি, নকশা তৈরি, অর্থবণ্টন সকল স্তরেই তাদের তদারকি থাকলে উন্নয়নের কাজ আরও সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হবে, এমনটাই তাদের বিশ্বাস। তাদের এই দাবি নতুন নয়, আগেও একবার উঠেছিল বলে মনে পড়ে, তখন প্রকৌশলীরা আপত্তি তুলেছিল, এসব ব্যাপারে ডিসি'দের অভিজ্ঞতা, প্রশিক্ষণ ইত্যাদির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে; আপত্তির আভাস এবারও পাওয়া গেছে; তবে ব্যাপারটা শেষ পর্যন্ত কোন মীমাংসায় গিয়ে পৌঁছাবে সেটা আগামীতে জানা যাবে, কে জানে, হয়তো-বা জাতীয় নির্বাচনের আগেই।

এবারের পুলিশ সপ্তাহে পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনো দাবি উত্থাপন করা হয়েছে বলে শোনা যায়নি; তবে অনানুষ্ঠানিকভাবে কিছু দাবি উঠেছে, তার মধ্যে একটি হচ্ছে যানবাহনের জন্য জ্বালানি তেলের বরাদ্দবৃদ্ধি। এই দাবির পক্ষে যুক্তি আছে। সেটা হলো বরাদ্দবৃদ্ধি পেলে তাদের চলফেরায় গতি বাড়বে। অর্থাৎ স্মার্টনেস বৃদ্ধি পাবে। পুলিশ বাহিনী এমনিতেই যথেষ্ট স্মার্ট, বিশেষ করে বিরোধী দলের বিক্ষোভ, মিছিল, সমাবেশ, ইত্যাদি দমনের ব্যাপারে। সাধারণ অপরাধীদের আইনের আওতাতে নিয়ে আসার ক্ষেত্রেও তারা দ্রুততার সঙ্গেই কাজ করে থাকে, যখন সে রকম নির্দেশ পায়। তবে "সন্দেহবশত" লোক ধরে আনা, তাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা, পুলিশী হেফাজতে মৃত্যু, ইত্যাদির অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায়; এবং সেগুলো যে উড়ো খবর তাও নয়।

যেমন ক'দিন আগের একটি ঘটনা। ঘটেছে গাজীপুরে। পুলিশের এক এএসআই রবিউল ইসলাম নামে ছোটখাটো এক ব্যবসায়ীকে ধরে নিয়ে গেছে। অভিযোগ সে অনলাইনে জুয়া খেলছিল। পুলিশ হেফাজতে রবিউল থাকে টানা চারদিন। এর মধ্যে রবিউলের পরিবারের কাছে নাকি বার্তা পৌঁছায় যে ৪ লাখ টাকা দিলে সে মুক্তি পাবে। রবিউলের পরিবারের অতটা সামর্থ্য ছিল না। কাজেই সে আটক অবস্থাতেই থেকে যায়। চারদিন পরে পরিবারকে জানানো হয় যে রবিউল অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে আছে। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যায় রবিউলের আত্মীয়রা; সেখানে রবিউলকে তারা অসুস্থ নয়, মৃত অবস্থায় পায়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন