You have reached your daily news limit

Please log in to continue


কালো টাকা সাদা বানাইবার মওকা

অর্থনীতিবিদগণ তো বটেই, দেশের সচেতন নাগরিকবৃন্দ বরাবরই কালো টাকা সাদা করিবার সুযোগ রহিতকরণের দাবি জানাইয়া আসিতেছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক, সরকার উক্ত দাবির প্রতি কর্ণপাত তো দূরস্থান, বরং ক্রমান্বয়ে সেই অনৈতিক সুযোগের ক্ষেত্র বৃদ্ধি করিয়া চলিয়াছেন। সোমবার সমকালের এক প্রতিবেদন অনুসারে, প্রস্তাবিত আয়কর আইনে, যাহা বর্তমানে বিল আকারে যাচাই-বাছাইয়ের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটিতে আছে– ফ্ল্যাট বা অ্যাপার্টমেন্টের ন্যায় জমি ক্রয়েও অপ্রদর্শিত বা কালো টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে সাদা বানাইবার সুযোগ রাখা হইয়াছে। এই জন্য সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীকে একটা নির্দিষ্ট অঙ্কের কর দিলেই চলিবে। যেমন গ্রামের জমির জন্য কর হইবে কাঠাপ্রতি ৬৩ হাজার টাকা; ঢাকার গুলশান, বনানী, বারিধারার অনুরূপ অভিজাত এলাকা এবং মতিঝিল ও দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকার জন্য উহা হইবে প্রায় ১৯ লক্ষ টাকা। উপরন্তু এমন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আয়ের উৎস প্রকাশ না করিলেও চলিবে। কারণ নির্দিষ্ট হারে কর প্রদান করিলে সংশ্লিষ্ট অর্থের উৎস সম্পর্কে ব্যাখ্যা প্রদান করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।

উল্লেখ্য, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জমিতে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ ছিল। তবে ২০১৯-২০ অর্থবছরে অ্যাপার্টমেন্টের পাশাপাশি জমিতে এই সুযোগ বহাল রাখার প্রস্তাব থাকিলেও ব্যাপক সমালোচনার মুখে চূড়ান্ত বাজেটে সুযোগটি রাখা হয়নি। এই বৎসর পুনরায় উহাকে ফিরাইয়া আনা হইল। হতাশাজনক হইলেও এই দেশে গত কয়েক দশক ধরিয়া দেখা যাইতেছে, সরকার মেয়াদের সূচনা হইতেই বিভিন্ন প্রভাবশালী মহলকে খুশি রাখিবার চেষ্টা করিলেও জাতীয় নির্বাচন ঘনাইয়া আসিলে উহা ব্যাপকতর রূপ পরিগ্রহ করে। কালো টাকা সাদা বানাইবার প্রস্তাবিত সুযোগ উহারই অংশ কিনা– সেই প্রশ্ন উঠিয়াছে। কারণ ঘুষ, চাঁদাবাজি, কমিশন-বাণিজ্য ইত্যাদি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এই প্রকার অর্থোপার্জন রাজনৈতিক বা অন্য কোনো প্রভাব ধারণ করেন এমন ব্যক্তি ব্যতীত কোনো সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভবপর নহে। দুর্নীতিবিরোধী মানুষদের ন্যায় আমরাও সম্পাদকীয় স্তম্ভে ইতোপূর্বে বারংবার বলিয়াছি, এই প্রকার সুযোগদানের মাধ্যমে একদিকে দুর্নীতিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়; অন্যদিকে সমাজে বিদ্যমান ধনী-দরিদ্র বৈষম্যকে আরও উস্কাইয়া দেওয়া হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন