You have reached your daily news limit

Please log in to continue


যে ঋণ পরিশোধ না করাই ভালো

ঋ ণ তো আছে; থাকবেই। ক্ষুদ্রঋণ যাঁদের, তাঁরা সেটা শোধ করেন। বড় ঋণীরা তা করতে চান না। কিন্তু সমষ্টিগতভাবে আমাদের অনেক ঋণ আছে যেগুলো শোধ করা কখনোই সম্ভব নয় এবং সেগুলো আমাদের নত না করে ধনী করে। এমনি একটি ঋণ আমাদের কাজী নজরুল ইসলামের কাছে। এই ঋণটি সাংস্কৃতিক।

সংস্কৃতির ভেতর অনেক কিছু থাকে। শিল্প-সাহিত্য, ইতিহাস-ঐতিহ্য তো বটেই; মতাদর্শও থাকে। আর ওই মতাদর্শের ব্যাপারটা মোটেই গুরুত্বহীন নয়। ওইখানে, মতাদর্শের ওই জায়গাতে নজরুল ছিলেন একই সঙ্গে সাম্রাজ্যবাদ ও সামন্তবাদবিরোধী। দুই বিরোধিতার এই মিলনটা অনেক ক্ষেত্রেই ঘটে না, যা নজরুলের বেলাতে চমৎকারভাবে ঘটেছিল। ব্রিটিশ শাসনকালে সাম্রাজ্যবাদ ও সামন্তবাদের বিরোধিতার ঐক্য ঘটা কঠিন ছিল। ব্রিটিশের কূটচাল তো ছিলই; হিন্দু ও মুসলমান দুই সম্প্রদায়ের বিত্তবান নেতারা– ঠাট্টা করে নজরুল যাদের টিকিওয়ালা ও দাড়িওয়ালা বলেছেন; বলেছেন রামছাগল ও খোদার খাসি, তারাও তৎপর ছিল। ফলে সাম্রাজ্যবাদবিরোধী লড়াইয়ে ধর্ম ঢুকে পড়ে সাম্প্রদায়িকতার সৃষ্টি করেছে। জন্ম দিয়েছে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার। পরিণতিতে সাতচল্লিশে যা ঘটেছে তা স্বাধীনতাপ্রাপ্তি নয়। সেটা হলো মারাত্মক দেশভাগ।

নজরুলের নানা পরিচয় আমরা জানি। তিনি বিদ্রোহের কবি, আবার প্রেমেরও কবি। গান লিখেছেন, গান গেয়েছেন। অভিনয় করেছেন চলচ্চিত্রে। রাজনীতিতে ছিলেন। বক্তৃতা, ভাষণ, অভিভাষণ– কোনো কিছুতেই উৎসাহের অভাব ছিল না। সংবাদপত্র সম্পাদনা করেছেন।

কারাভোগ করেছেন কবিতা লিখে; কারাগারে অনশন করেছেন। ১৯২৩-এ, বয়স যখন ২৪, তখন জেলে গেছেন। ১৯৩১-এ আবারও যেতেন, যদি গান্ধী-আরউইন চুক্তি স্বাক্ষরিত না হতো। নজরুল কিশোর বয়সেই যুদ্ধে গিয়েছিলেন, সৈনিক হিসেবে। অসাধারণ মানুষ একজন। কিন্তু তাঁর আসল পরিচয় হচ্ছে এই, তিনি খাঁটি বাঙালি এবং বিশ্বাসী ছিলেন সমাজ বিপ্লবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন