You have reached your daily news limit

Please log in to continue


বন্ধুদের অবহেলা করছে আওয়ামী লীগ?

অতীতের মতো এবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস স্মরণ উৎসবের সূচনা করেছেন। প্রতি বছরই মেহেরপুরের মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের দায়িত্বটা বর্তায় দলের অন্যান্য নেতার ওপর। এভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ গ্রহণস্থলকে যথাযথ গুরুত্ব প্রদান করা থেকে বিরত থাকা হয় না? মুক্তিযুদ্ধের কাণ্ডারি তাজউদ্দীন আহমদকেও কি তাঁর দল এই দিবসে যথাযথভাবে স্মরণ করে? স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মূল মুসাবিদাকারী ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলামও অনেক বছর ধরে আওয়ামী লীগ থেকে ছিটকে রয়েছেন।

এটা এখন সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত– বঙ্গবন্ধু যেমন ২৫ মার্চ রাতে যথাযথ ও সুচিন্তিতভাবেই আত্মগোপনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন; তেমনি আওয়ামী লীগের অন্য নেতাদের অগোচরে ওয়্যারলেস ও অন্যান্য মাধ্যমে স্বাধীনতা ঘোষণার বার্তাটিও জাতিকে জানানোর ব্যবস্থা করেছিলেন ওয়্যারলেসের চিফ ইঞ্জিনিয়ার নুরুল হকের মাধ্যমে। ২৫ মার্চ মধ্যরাতের অব্যবহিত পর বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত সহকারী গোলাম মোরশেদের মাধ্যমে তিনি টেলিফোনে বঙ্গবন্ধুর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, ‘মেসেজটি পাঠানো হয়ে গেছে। এখন মেশিনটি কী করব?’ তখন গোলাগুলি শুরু হয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধু টেলিফোন কল রিসিভ না করেই গোলাম মোরশেদের মাধ্যমে জবাব দিয়েছিলেন, ‘মেশিনটি ভেঙে ফেলে পালিয়ে যেতে বল।’ ওই ওয়্যারলেস মেসেজ পাঠানোর অপরাধে ইঞ্জিনিয়ার নুরুল হককে ১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাসা থেকে ধরে নিয়ে হত্যা করে। একমাত্র সাক্ষী গোলাম মোরশেদ আজও বেঁচে আছেন।

ওদিকে আমীর-উল ইসলাম তাজউদ্দীনকে বাসা থেকে নিজের গাড়িতে তুলে নিয়ে লালমাটিয়ার এক বাড়িতে গিয়ে আত্মগোপন করেছিলেন। ২৭ মার্চ কারফিউ প্রত্যাহারের পর জীবন বাজি রেখে ৩০ মার্চ কুষ্টিয়ার জীবননগর সীমান্তে পৌঁছে তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এবং মাহবুব উদ্দিন আহমদকে বিএসএফের কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছিলেন। তাজউদ্দীন ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, সীমান্তে অপেক্ষার সময়েই তিনি সিদ্ধান্ত নেন– স্বাধীন সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করবেন এবং তজ্জন্য ভারতের সাহায্য কামনা করবেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন