You have reached your daily news limit

Please log in to continue


বিতর্ক বিশৃঙ্খলা অনিশ্চয়তায় ঘেরা জনজীবন

ব্যক্তিগত প্রয়োজনে অনেকের মতো আমাকেও মাঝেমধ্যে ব্যাংকে যেতে হয়। আগে কাজ সেরেই বেরিয়ে আসতাম। বসে কথাবার্তা বলা হতো কম। আজকাল ব্যাংকে গিয়ে প্রথমেই বসে সময় নিয়ে কথাবার্তা বলি। ব্যাংকের অবস্থা, দেশের আর্থিক খাতের অবস্থা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি। কিছুদিন ধরে লক্ষ করছি, আরও অনেকে একই বিষয়ে জানতে চান। ব্যাংকের কর্মকর্তারা সবাইকে মোটামুটি ইতিবাচক ধারণা দিয়ে খুশি মনে বিদায় দেওয়ার চেষ্টা করেন।

কিন্তু কোনো সাংবাদিককে অত সহজে বিদায় করা সম্ভব হবে না জেনেই হয়তো কিছু কথা বলেন। পরিস্থিতির কিছু ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণও করেন। হয়তো ব্যাংক ও আর্থিক খাতের কিছু মৌলিক বিষয় জানতেও চান। তাঁদের সেই কথাবার্তা ও ব্যাখ্যায় আশা-নিরাশার দোলাচল স্পষ্ট হয়ে ওঠে। অনিশ্চিত পরিস্থিতির আভাস পাওয়া যায়।

গণমাধ্যমের এক খবরে প্রকাশ, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ‘আমাদের দেশের ব্যাংকগুলোতে আর্থিক খাতের দুর্বলতা থাকলেও কোনো ব্যাংক বন্ধ করার মতো পরিস্থিতি হয়নি।’ না হলেই ভালো। আমরা উপদেষ্টা মহোদয়ের কথায় আস্থা রাখি। কিন্তু ইতিমধ্যে যা হয়েছে এবং যা অব্যাহতভাবে হয়ে চলেছে, তাকে কি কোনোভাবেই ভালো বলা যায়?

যেমন ধরুন খেলাপি ঋণ। দেশের প্রতিটি ব্যাংকের, বিশেষ করে রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের খেলাপি ঋণ বাড়তে বাড়তে এখন আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। এ কারণে আন্তর্জাতিক ঋণমান সংস্থা ‘মুডিস ইনভেস্টর সার্ভিস’ আমাদের দেশের ব্যাংকগুলোর ঋণমানকে স্থিতিশীল থেকে সম্প্রতি নেতিবাচক পর্যায়ে নামিয়ে এনেছে। ফলে আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে দেশের ব্যাংকগুলো অনেক বেশি প্রতিকূলতার সম্মুখীন হবে। আন্তর্জাতিক ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের দেশের ব্যাংকগুলোর জন্য ঋণসীমা কমিয়েও দিতে পারে।

ডলার সংকট ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক বাণিজ্যে যে ভাটার টান সৃষ্টি করেছে, তার কোনো সুরাহা এখনো হয়নি। দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের যে পরিস্থিতি ও পূর্বাভাস, তাতে অদূর ভবিষ্যতে এর সুরাহা হওয়ার সম্ভাবনাও কম। এই সব সংকটের পাশাপাশি ব্যাংকগুলোতে, বিশেষ করে বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোতে অব্যাহত রয়েছে আইনকানুন, বিধিবিধান ব্যত্যয়ের দীর্ঘদিনের প্রবণতা। বহুল আলোচিত সব অনিয়ম ব্যাংক ও আর্থিক খাতের নিয়মিত ঘটনা হয়ে উঠেছে। ফলে ব্যাংকব্যবস্থার ওপর আমানতকারীদের আস্থাহীনতা সৃষ্টি হচ্ছে। অনেক ব্যাংকে কমছে মেয়াদি আমানতের পরিমাণ। সর্বোপরি, ব্যাংক ও আর্থিক খাতসংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) আরোপিত নানাবিধ শর্ত এই খাতের ওপর আরও বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে।

ব্যাংক ও আর্থিক খাতের এই বিশৃঙ্খল ও অনিশ্চিত পরিস্থিতির বিরূপ পরোক্ষ প্রভাব জনজীবনেও ব্যাপক অনিশ্চয়তা ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করেছে। শ্রেণি-পেশা, সামাজিক অবস্থান-নির্বিশেষে কেউ এ থেকে মুক্ত নন। এর পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ক্রমবর্ধমান উচ্চমূল্য একপ্রকার সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে।

আজকাল যেকোনো পরিবেশে, বাজার-ঘাট, বাস-লঞ্চ—সর্বত্র দ্রব্যমূল্য একটি গণ-আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। কোনোভাবে কেউ একজন দ্রব্যমূল্যের কথা তুললেই আশপাশের সবাই যেন সেই আলোচনায় যোগ দেওয়ার জন্য হামলে পড়ছে। কিছুদিন আগেও এমনটি দেখা যেত না। এর অর্থ হলো মানুষের জীবনযাত্রা ক্রমেই কঠিনতর হয়ে উঠছে। মানুষ অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে।

এই সপ্তাহান্তেই শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। এ কারণে নির্ধারিত ও নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষের মধ্যে দুশ্চিন্তা আরও বেশি। কারণ, আমাদের দেশে রমজান মাসে নিত্যপণ্যের মূল্য উচ্চতম শিখরে উঠে যায়। এর পেছনে যাদের কারসাজি থাকে, তারা সৃষ্টিকর্তার কাছে ক্ষমা চেয়ে পাপমুক্ত হতে চায়। কিন্তু হতে পারে কী? পারলেও সমাজে ছড়িয়ে পড়া এই পাপ তাদের পরিজনদেরও যে চিরকালের জন্য কলুষিত করে, এটা তাদের বোধগম্য হয় না।

পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য না বাড়ানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যন্ত আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু কায়েমি স্বার্থ কি কোনো দিন এসব আহ্বানে সাড়া দিয়েছে? নাকি কোনো কথা শুনেছে? ফলে সাধারণ মানুষ একপ্রকার ভয়ের মধ্যে আছে দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি নিয়ে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন