You have reached your daily news limit

Please log in to continue


ভর্তুকি আর ক্যাপাসিটি চার্জের পাটিগণিত

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি জনজীবনের স্বস্তি কেড়ে নিয়েছে। চাল, আটা, ডাল, তেল, চিনি তো বটেইএসব দ্বারা তৈরি বিস্কুট, চানাচুর, মিষ্টি, কেক সবকিছুর দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে পাশের দেশসমূহের তুলনায় বাংলাদেশ যে সবচেয়ে এগিয়ে নানা জরিপে তা বলা হচ্ছে। যাদের এসব দেখার কথা, তারা কখনো করোনা, কখনো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, আর সর্বশেষ বিশ্ববাজারে মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছেন। ফলে দাম বাড়ছে এবং মানুষ অসহায়ের মতো তা মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। আয় বাড়ানোর পথ বেশির ভাগ মানুষের জন্য খোলা নেই। তাই তারা খরচ কমানোর পথ খুঁজছেন প্রতিনিয়ত।

এই পরিস্থিতিতে আবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলো। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, জনগণকে বিদ্যুৎ দিতে গিয়ে সরকার লোকসান করছে। লোকসানের কারণে বিদ্যুতের জন্য সরকারকে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। কত দিন আর ভর্তুকি দেবে সরকার? তাই ভর্তুকির ভার কমাতে পাইকারিতে বিদ্যুতের দাম ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বাড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) মাধ্যমে সরকার। মূল্যবৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলোর কাছে বিক্রি করবে ৬ টাকা ২০ পয়সা, যা আগে ৫ টাকা ১৭ পয়সা ছিল। বলা হয়েছিল খুচরা গ্রাহকপর্যায়ে আপাতত দাম বাড়ানো হবে না এবং গ্রাহকদের ওপর মূল্যবৃদ্ধির কোনো প্রভাব পড়বে না। কিন্তু এরই মধ্যে তোড়জোড় শুরু হয়েছে গ্রাহকপর্যায়ে ২০ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধির।

বিইআরসি চেয়ারম্যান ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, ‘১৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকির কথা’ বিবেচনা করে বিদ্যুতের বাল্ক মূল্যহার পুনর্নির্ধারণের এই সিদ্ধান্ত তারা নিয়েছেন। ডিসেম্বর মাসের বিল থেকে এই নতুন মূল্যহার কার্যকর হবে। বিদ্যুতের মূল্য প্রতি ইউনিট ১ টাকা ৩ পয়সা বৃদ্ধির ফলে কত আয় বাড়বে বা কতখানি ভর্তুকি কমবে সে হিসাবও তারা দিয়েছেন।

কমিশন হিসাব করে দেখেছে, নতুন মূল্য কার্যকর হওয়ার ফলে পিডিবির আয় বছরে আট হাজার কোটি টাকা বাড়বে। কিন্তু তার পরও ভর্তুকি দিতে হবে। এবং তাদের হিসাব অনুযায়ী ইউনিট প্রতি দাম বাড়িয়ে ৮ টাকা ২৮ পয়সা করলে পিডিবি পুরো ১৭ হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি থেকে হয়তো মুক্ত হতে পারত। প্রশ্ন আসতে পারে তাহলে কী হতো? গত এক যুগ তো বটেই তারও আগে থেকে মানুষ শুনে আসছেন ভর্তুকির ভার আর সহ্য করা যাচ্ছে না। দাম বাড়াও ভর্তুকি থেকে বিদ্যুৎ খাতকে রেহাই দাও। কিন্তু ইতিহাস বলে দাম বাড়ানো হলো বারবার অথচ লোকসানের কবল থেকে বাঁচল না বিদ্যুৎ খাত। তাহলে খুঁজে দেখা দরকার সমস্যাটা কোথায়? আর দাম বাড়ানো সহজ সমাধান হলেও কার্যকর সমাধান কী?

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন