You have reached your daily news limit

Please log in to continue


রাজনীতির মাঠ খেলো হয়ে যাচ্ছে

আমার এক বন্ধু এবার রাজনৈতিক দল হিসেবে ইসির নিবন্ধনের জন্য আবেদনকারী দলের তালিকা নিয়ে গল্প করছিলেন। এ সময় টাটকা একটি অভিজ্ঞতার কথা বললেন। তাঁর এলাকার চল্লিশোর্ধ্ব এক টাউট টাইপের ভদ্রলোককে ঘিরে গল্প। ধরা যাক, তাঁর নাম ছগির মিয়া।

তাঁর দাবি তিনি এসএসসি পাস। পেশা রাজনীতি। কোনো বিশেষ দলের রাজনৈতিক নেতা বা কর্মী তিনি নন। যখন যেখানে দুই পয়সা পাওয়ার সুযোগ থাকে, সেখানেই যান। তবে সব বড় রাজনৈতিক দলের কাছে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যক্তি। জনসভায় লোক জোগান দিতে তাঁর যোগ্যতা তুলনাহীন। বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় যেমন ‘দল’ নামটি যুক্ত করে নানা ধরনের সংগঠন গড়ে উঠেছিল। আওয়ামী লীগের আমলেও ‘লীগ’ শব্দটি যুক্ত করে নানা সংগঠন গড়ে ওঠে। ছগির মিয়াও নাকি একবার চেষ্টা করেছিলেন ‘বাংলাদেশ ভিক্ষুক লীগ’ গঠন করার। কিন্তু হালে পানি না পাওয়ায় তাঁকে বিরত থাকতে হয়। এবারও নিবন্ধনের জন্য বাংলাদেশ ভিক্ষুক লীগ ব্যানারে আবেদনের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সব শর্ত পূরণ করতে না পারায় তাঁর আর আবেদন করা হয়নি। কিন্তু তিনি হতাশ হননি। সারা দেশে ভিক্ষুকদের নিয়ে নাকি তিনি সংগঠন গড়ে তুলবেন। বন্ধুটি বললেন, আমরা অবাক হব না ছগির মিয়া যদি বলেন সরকারি দলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভালো। তাই সরকারি সহযোগিতায় ভিক্ষুকের সংখ্যা বৃদ্ধি করাতে পারবেন।

কিছুদিন আগে নিবন্ধনের জন্য প্রায় ৮০টি নতুন রাজনৈতিক দল আবেদন করেছে। কয়েক দিন আগে একটি টক শোতে জানলাম, এর মধ্যে ৭৯টি দলের সঙ্গে নাকি ধর্মীয় সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের দেশের ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল ধর্মের প্রতি পায়বন্দ আমার তেমন মনে হয় না। এদের বেশির ভাগ রাজনীতির ঢাল হিসেবে ধর্মকে সামনে নিয়ে আসে। মানুষের সরল ধর্মবিশ্বাসকে সুকৌশলে নিজেদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণে ব্যবহার করে। নিবন্ধন পেতে নাকি অন্যতম শর্ত হিসেবে কমপক্ষে ২১টি জেলায় সংগঠনের শাখা থাকতে হয়। আমার মতো অনেকেই সম্ভবত এমন সব বিচিত্র নামের সংগঠনের কথা এর আগে শোনেননি।

এমন পাগলামি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়ও হয়েছিল। ওই সময় ৭৬টি দল আবেদন করলেও কোনোটিকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিবন্ধন দেয়নি। পরে আদালতের মাধ্যমে দুটি দল নিবন্ধন পেয়েছিল। এবার কী হবে জানি না। আগের নিবন্ধিত ৩৯টি দলের সঙ্গে আরো যুক্ত হয় কি না! তবে এটি ঠিক, অনেক দলের নাম শুনে আমার ছগির মিয়ার কথাই মনে পড়েছিল। কতগুলো নাম মজাদার। কোনো কোনো দলের নাম শুনে বোঝা যায় না এসব দল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনপ্রত্যাশী কেন!

আমার কাছে যেসব নাম বিচিত্র কৌতূহলোদ্দীপক মনে হয়েছে সেগুলো হচ্ছে—নৈতিক সমাজ, মুসকিল লীগ (সম্ভবত শব্দ সংক্ষেপ), বঙ্গবন্ধু দুস্থ ও প্রতিবন্ধী উন্নয়ন পরিষদ (সামাজিক সংগঠন হতে পারে, অমন নাম রাজনৈতিক সংগঠনের পরিচয় জ্ঞাপক হতে পারে না), বাংলাদেশ ইত্যাদি পার্টি, বৈরাবরী পার্টি (বোধের অগম্য), বাংলাদেশে বিদেশ প্রত্যাগত প্রবাসী ও ননপ্রবাসী কল্যাণ দল, এ বি পার্টি, সম্মিলিত সংগ্রাম পরিষদ, বাংলাদেশ জনমত পার্টি, বাংলাদেশ সর্বজনীন দল, বাংলাদেশ বেকার সমাজ ইত্যাদি। দুটি দলের নাম দেখে মনে হলো, ভারতীয় দুটি দলের বাংলাদেশের শাখা কি না। যেমন—বাংলাদেশ তৃণমূল জনতা পার্টি ও বাংলাদেশ তৃণমূল কংগ্রেস।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন