You have reached your daily news limit

Please log in to continue


গমের বদলে চালের আটা খান, ডলারের ওপর চাপ কমান

খিদে লাগলে মাথা ঠিক থাকে না। মাথার মধ্যে খালি ‘খাই খাই’ চলে। ‘ক্ষুধার রাজ্যে’ হাভাতে পদ্যময় চোখে ‘পৃথিবী গদ্যময়’ হয়ে ওঠে। তখন পূর্ণিমার চাঁদকেও ‘ঝলসানো রুটি’ মনে হয়।

তবে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের আটাবিষয়ক সাম্প্রতিক কথা শুনে মনে হচ্ছে, দৈবাৎ খিদের চোটে পূর্ণিমার চাঁদকে যদি কারও ‘ঝলসানো রুটি’ মনে হয় এবং তিনি যদি সেটা কবি সুকান্তর মতো মনে মনে খেতে চান, তাহলে তিনি যেন মনে মনে একটু ‘চেক’ করে দেখেন, সেই পূর্ণিমার চাঁদরূপী রুটিটা গমের আটার নাকি চালের আটার। চালের আটার হলে কোনো কথা নাই; কিন্তু গমের আটার হলে ‘দুইখান কথা’ আছে।

সেই ‘দুইখান’ কথা হলো: গত রোববার প্রতিমন্ত্রী মহোদয় এক ঢিলে দুই পাখি মারার মতো গমের আটার রুটির বদলে চালের আটার রুটি খেয়ে জীবন এবং ডলার—দুটিই বাঁচানোর একটি অভাবনীয় জীবনঘনিষ্ঠ আইডিয়া দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, গমের আটার রুটি না খেয়ে চালের আটার রুটি খেলে গম আমদানি করতে হবে না, এতে বৈদেশিক মুদ্রা বেঁচে যাবে। তিনি বলেছেন, ‘খাব না, গমের আটার রুটি খাব না। তাহলে আমার গম ইমপোর্ট করতে হবে না। আমার ফরেন কারেন্সি যেটা আছে, সেটাতে শর্ট পড়বে না। আমার ডলার শর্ট পড়বে না।’

আটার রুটিতে অবিবেচক পাবলিকের অহেতুক আসক্তির প্রতি একটি দেশাত্মবোধক উষ্মা প্রকাশ করে প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা সবাই যেন গমের আটার রুটি খাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে গেছি! আমরা তিন মাস গমের রুটি না খাই। দেখি না কী হয়? আমরা চালের আটার রুটি খাব। অসুবিধা কোথায়?’

আলোচ্য প্রস্তাবাংশে প্রতিমন্ত্রী টানা তিন মাস গমের রুটির বদলে চালের রুটি খাওয়ার মধ্যে অসুবিধা কোথায়—সেই সম্পূরক প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, এই অতি সহজসাধ্য খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের তিন মাসের মেয়াদকাল শেষে আমরা অন্তত ‘দেখি না কী হয়’ ধরনের একটি ফল পাব বলেও তিনি নিশ্চিত করেছেন। যেখানে গমের আটা কেনার খরচ জোগাতে গিয়ে অনেকে ‘কাছা খুলে যাচ্ছে’ বলে দাবি করছেন, সেখানে প্রতিদিন চালের আটার খরচ জোগাতে কেন তাঁদের অসুবিধা হবে, সেটি প্রতিমন্ত্রীর বুঝতে না পারার মধ্যে নিশ্চয়ই সাধারণের উপলব্ধির অতীত কোনো মহৎতর তাৎপর্য রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী মহোদয় সম্ভবত নিশ্চিত যে আমরা যে গম আমদানি করি, তার আটা দিয়ে শুধু পিঁড়িতে বেলন দিয়ে বেলে বানানো বৃত্তাকারের পাতলা রুটি বানানো হয় এবং সেই রুটির আটা জোগাড় করতে গিয়ে আমাদের ডলার শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমাদের লাখ লাখ বেকারিতে যে পাউরুটি, বিস্কুট, কেকসহ হরেক পদের খাবারদাবার তৈরি হয়; একজন রিকশাওয়ালা কিংবা দিনমজুর সকালে নাশতা হিসেবে দোকান থেকে কলার সঙ্গে যে পাউরুটি কিনে খান তা যে গমের আটা ও ময়দা দিয়ে বানানো হয়, সেটিকে তিনি অত্যন্ত যুক্তিনির্ভরভাবে ‘গোনায়’ ধরেননি। যদি ধরতেন, তাহলে এসব খাবারও চালের আটা দিয়ে বানানো যায় কি না, সে বিষয়ে আমাদের হয়তো একটি নিরীক্ষা চালানোর হ্যাপা পোহাতে হতো।

তবে প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের এ প্রস্তাবের মধ্যে একটি ছোট্ট আশঙ্কা রয়ে যাচ্ছে। সেটি হলো তাঁর কথামতো গমের আটা খাওয়া বন্ধ করে আমরা যদি সবাই একযোগে চালের ওপর হামলে পড়ি, তাহলে আমাদের চালের গুদামে যে ‘সুললিত’ শূন্যতা দেখা দেবে, তা খাদ্য মন্ত্রণালয়কে চঞ্চল করে বসতে পারে। তখন বেশ কিছুদিন আগে যেভাবে বলা হয়েছিল, ঠিক একইভাবে আবারও আমাদের বলা হতে পারে, ‘আমরা অনেক বেশি ভাত খাই। আমরা একেকজন দিনে প্রায় ৪০০ গ্রাম চাল খাই, পৃথিবীর অনেক দেশে ২০০ গ্রামও খায় না।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন