You have reached your daily news limit

Please log in to continue


ক্ষমতার দম্ভ কারও স্থায়ী হয় না

মানুষের সুদিন-দুর্দিন নদীর জোয়ার-ভাটার মতো। আজ ভালো তো কাল খারাপ। এই সুদিনকে যাঁরা ভালো কাজে লাগান, তাঁরা মানুষের শ্রদ্ধা-ভালোবাসা পান, সমাজে সমাদৃত হন। আর যাঁরা নিজের সুদিনকে অপরের দুর্দিন বানানোর কাজে ব্যবহার করেন, একদিন তাঁকেই দুর্দিনে নিপতিত হতে হয়। আর এর ফলে একসময় ঘটে তাঁদের ভাগ্যবিপর্যয়। মানুষকে বঞ্চিত করে, অবাধ লুটপাটের মাধ্যমে যে প্রাসাদ তাঁরা গড়ে তোলেন, প্রচণ্ড ঝড়ের এক ঝাপটায় তা ভেঙে দুমড়েমুচড়ে যায়। রাজাধিরাজ থেকে মুহূর্তে তিনি পরিণত হন দীনভিখারি কাঙালে। ক্ষমতার দম্ভে যে ব্যক্তিটি একসময় অগণিত মানুষের গৃহ কেড়ে নেন, তাঁকেই একসময় আশ্রয়ের জন্য ছুটতে হয় এ দ্বারে-সে দ্বারে।

সেই একই নজির স্থাপিত হলো দ্বীপদেশ শ্রীলঙ্কায়। দেশটির দোর্দণ্ড প্রতাপশালী ক্ষমতাসীন পরিবারটি এখন রাজ্যহারা, আশ্রয়হারা। একটুখানি নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য তাদের এ দেশ থেকে ও দেশে ছুটে বেড়াতে হচ্ছে। কয়েক মাস আগেও কি কেউ কল্পনা করতে পেরেছিলেন, শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে ক্ষমতাধর পরিবারটির সদস্যদের এমন নিরাশ্রয় হতে হবে? মাহিন্দা রাজাপক্ষে ক্ষমতায় এসেছিলেন গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হয়েই। ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ শ্রীলঙ্কায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদান কম নয়। তামিল টাইগারদের নির্মূল করে দেশটিতে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অস্থিরতাকে দূরীভূত করতে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি। নজর দিয়েছিলেন দেশটির অবকাঠামোগত উন্নয়নের দিকেও। আর তা করতে গিয়ে ডুব দিয়েছিলেন বৈদেশিক ঋণের সাগরে। যে কারণে প্রবল আর্থিক সংকট ঘিরে ধরেছিল দেশটিকে। অবস্থা এমনই দাঁড়িয়েছিল যে এক দিনও সচল রাখা সম্ভব হচ্ছিল না রাষ্ট্রের চাকা। জ্বালানি, খাদ্যসহ প্রায় সব পণ্যের সংকট শ্রীলঙ্কার জনগণকে অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। তারা বিদ্রোহ করে রাজাপক্ষে সরকারের বিরুদ্ধে। প্রচণ্ড গণবিক্ষোভের মুখে মাহিন্দা রাজাপক্ষে ক্ষমতা ছেড়ে রাজধানী থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। ক্ষমতা থেকে মাহিন্দা বিদায় নিলেও রয়ে যান তাঁর ভাই দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। প্রচণ্ড গণবিক্ষোভের মুখে অবশেষে তিনিও পদত্যাগ ও দেশ ছেড়ে মালদ্বীপ হয়ে তাঁকে চলে যেতে হয়েছে সিঙ্গাপুর। সেখান থেকে তিনি আনুষ্ঠানিক পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টের স্পিকারের কাছে। শোনা যাচ্ছে, সিঙ্গাপুর থেকে তিনি সৌদি আরবে পাড়ি জমানোর চিন্তাভাবনা করছেন। গোতাবায়ার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রক্ষমতায় দীর্ঘদিনের রাজাপক্ষে পরিবার যুগের অবসান হলো।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন