You have reached your daily news limit

Please log in to continue


বাংলা ভাষা : অন্য আন্দোলন, অন্য শহিদেরা

২১ ফেব্রুয়ারি যদি ১৯ মে তারিখকে মনে না পড়ায়, বা আড়ালে রাখে বাংলা ভাষা নিয়ে পুরুলিয়ার মানুষের আত্মদানকে, তবে আমাদের উদযাপন বৃথা। তাই ২১ ফেব্রুয়ারিতে পূর্ববঙ্গের ভাষাশহিদদের জন্য মাথানত করেও আমরা ফিরে আসি ভারতের সীমানায়-বাংলা ভাষার জন্য অন্য দুটি আন্দোলনের কথা একটু বলি। সে দুটিরও একই কারণ-এক ভাষার অন্য ভাষার ওপর অসংগত আধিপত্য। দুই জায়গাতেই বাংলাভাষী বিশাল গোষ্ঠী বাস করেছে ভূমিপুত্র হিসাবে এবং জন্ম থেকে বাংলা ভাষারই স্থানীয় একটা রূপ বলেছে। তাদের সঙ্গে এসে মিলেছে বাংলাভাষী অঞ্চল থেকে আসা এক বৃহৎ বাংলাভাষী জনগোষ্ঠী।

অনেকে জীবিকার সন্ধানে বা জীবিকার সূত্রে এসেছে। আসামে তো বাংলাভাষী এক বিশাল জনগোষ্ঠীকে কৃষিকাজের জন্য ডেকে আনা হয়েছিল পূর্ববঙ্গ থেকে, ঘটনাচক্রে তারা ছিলেন মুসলমান। ত্রিপুরাতেও তা-ই ঘটেছিল, পূর্ববঙ্গের এক বৃহৎ কৃষক সম্প্রদায় গিয়ে ত্রিপুরায় সমতলের জমিতে সোনা ফলিয়েছে, কারণ ত্রিপুরার আদিবাসী মানুষেরা পাহাড়ের ঢালে ‘জুম’ চাষে যত অভ্যস্ত ছিলেন, সমতলের জমি চাষের কৃৎকৌশল তাদের তত জানা ছিল না। রাজারা তাদের স্বাধীনতার আগে আর পরে আমন্ত্রণ করেছেন। ফলে ত্রিপুরায় বঙ্গভাষী জনগোষ্ঠী সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েছে। সেখানকার উনিশটি ছোট আদিবাসী গোষ্ঠী তাতে কোনো বাধা দেয়নি, বরং নানা কারণে তাকে অভ্যর্থনাই করেছে। কিন্তু আসাম আর বিহার-ঝাড়খণ্ডের ইতিহাস অন্যরকম, নিজের নিজের মতো হলো কেন?

বরাক উপত্যকা

সময়ের হিসাবে এগিয়ে থাকে পুরুলিয়ার আন্দোলন। এর ব্যাপ্তি ১৯৪৮ থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত। কিন্তু আমরা আসামের কথা দিয়েই শুরু করি। আসামের বাংলা ভাষা আন্দোলনেরও মোট দুটি পর্যায় : একটি প্রধান, সেটি ১৯৬০-১৯৬১ সালজুড়ে ব্যাপ্ত। আরেকটি তুলনায় সংক্ষিপ্ত, সেটির কাল ১৯৬৭ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত। দুটির পেছনেই ছিল বাংলা ভাষা ও বাংলাভাষীদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা সম্বন্ধে আসামবাসীদের মনে জাগিয়ে তোলা এক ভয় আর আশঙ্কার মনোভাব, যা মূলত রাজনীতির ইন্ধনে ধ্বংসাত্মক রূপ নিয়েছিল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন