You have reached your daily news limit

Please log in to continue


ইতিহাসের অক্ষয় অধ্যায়

আমাদের জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসে ১৯৬৯-এর ২৪ জানুয়ারি এক ঐতিহাসিক দিন। প্রত্যেক মানুষের জীবনে উজ্জ্বলতম দিন থাকে। আমার জীবনেও কিছু ঐতিহাসিক ঘটনা ও দিন আছে। '৬৯ আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ কালপর্ব। এই পর্বে আইয়ুবের লৌহশাসনের ভিত কাঁপিয়ে বাংলার ছাত্রসমাজ '৬৯-এর ২৪ জানুয়ারি গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল। জাতীয় জীবনে যখন জানুয়ারি মাস ফিরে আসে তখন '৬৯-এর অগ্নিঝরা দিনগুলো স্মৃতির পাতায় ভেসে ওঠে।

'৬৬-৬৭তে আমি ইকবাল হল ছাত্র সংসদের সহসভাপতি এবং '৬৭-'৬৮তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ-ডাকসুর সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাঙালির জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের সূতিকাগার। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে '৬০-এর দশকের গুরুত্ব অনন্য। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার লক্ষ্য সামনে নিয়েই '৪৮-এ ছাত্রলীগ ও '৪৯-এ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করে মহান ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার বীজ রোপণ করে ৬ দফায় বাঙালির আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার জাতির সামনে পেশ করেন। ৬ দফা দেওয়ার পর দেশের বিভিন্ন জেলায় বঙ্গবন্ধুর নামে ১০টি মামলা করা হয়। প্রতিটি মামলায় জামিন পেলেও শেষবার নারায়ণগঞ্জ থেকে সভা করে ঢাকা আসার পর 'পাকিস্তান দেশরক্ষা আইন'-এ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের ডাকে ৭ জুন সর্বাত্মক হরতালে ছাত্রলীগ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। '৬৮-এর ১৮ জানুয়ারি জেল থেকে বঙ্গবন্ধু মুক্তি পেলেও ফের জেলগেটে গ্রেপ্তার করে অজানা স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রথমে আমরা জানতাম না প্রিয় নেতা কোথায়, কেমন আছেন। '৬৮-এর ১৯ জুন আগরতলা মামলার বিচার শুরু হলে আমরা বুঝতে পারি, আইয়ুব খান রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনে বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসিকাষ্ঠে মৃত্যুদণ্ড দেবে। আমরা ছাত্রসমাজ এই গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলি, যা পরে তীব্রতর হয়।

মনে পড়ছে ডাকসুসহ চারটি ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে ঐতিহাসিক ১১ দফার ভিত্তিতে '৬৯-এর ৪ জানুয়ারি সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গড়ে ওঠার কথা। '৬৯-এর ১৭ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলাভবনের বটতলায় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ১১ দফা প্রণয়নের পর এটাই প্রথম কর্মসূচি। ডাকসু ভিপি হিসেবে আমার সভাপতিত্বে সভা শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে গভর্নর মোনায়েম খান ১৪৪ ধারা জারি করেন। সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব ছিল সিদ্ধান্ত দেওয়ার- ১৪৪ ধারা ভাঙব কি ভাঙব না। উপস্থিত ছাত্রদের চোখেমুখে ছিল ১৪৪ ধারা ভঙ্গের দৃঢ়তা। ১৪৪ ধারা ভঙ্গের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে কয়েকশ ছাত্র নিয়ে রাজপথে এলাম। পুলিশ বাহিনী আমাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। ছাত্রলীগ সভাপতি আবদুর রউফ ঘটনাস্থলে আহত হন। আমরা ক্যাম্পাসে ফিরে আসি। পরদিন ১৮ জানুয়ারি পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও ঢাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ধর্মঘট কর্মসূচি দিই। ১৮ জানুয়ারি বটতলায় জমায়েত। যথারীতি আমি সভাপতি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র ধর্মঘট ছিল বিধায় সকালে বটতলায় ছাত্র জমায়েতের পর খণ্ড খণ্ড মিছিল এবং সহস্র কণ্ঠের উচ্চারণ- 'শেখ মুজিবের মুক্তি চাই, আইয়ুব খানের পতন চাই।' সেদিনও ১৪৪ ধারা বলবৎ ছিল। ১৪৪ ধারা ভঙ্গের সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজপথে নেমে এলাম। দাঙ্গা পুলিশ লাঠিচার্জ আর টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। ফিরে এলাম ক্যাম্পাসে।

কর্মসূচি নেওয়া হলো- ১৯ জানুয়ারি আমরা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিছিল করব এবং ১৪৪ ধারা ভাঙব। সেদিন ছিল রোববার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। কিন্তু প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় খোলা। আমরা মিছিল শুরু করি। শুরু হয় পুলিশের লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল নিক্ষেপ। কিন্তু কিছুই মানছে না ছাত্ররা। পুলিশ গুলি চালায়। প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রলীগ কর্মী আসাদুল হক গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়ে রাজপথে। '৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি শহীদ হন। পুলিশের নির্যাতন ও গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে ২০ জানুয়ারি সোমবার আবার বটতলায় সমাবেশের কর্মসূচি দিই। ২০ জানুয়ারি '৬৯-এর গণআন্দোলনের মাইলফলক। এদিন ১১ দফা দাবিতে ঢাকাসহ প্রদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পূর্ণ ধর্মঘট পালিত হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন