সাগরে রোহিঙ্গাবাহী নৌকাডুবি। ফাইল ছবি

নৌকাডুবিতে ৬০ রোহিঙ্গার মৃত্যু, আশঙ্কা আইওএমের

ওই নৌকায় ৫০ শিশুসহ প্রায় ৮০ জন রোহিঙ্গা ছিল। তারা সবাই সহিংসতার শিকার হয়ে প্রাণ বাঁচাতে রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসছিল। কিন্তু সমুদ্রের প্রচণ্ড ঢেউয়ের মুখে পড়ে নৌকাটি উল্টে যায়।

আবু আজাদ
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৯:০৯ আপডেট: ১৮ আগস্ট ২০১৮, ১৩:৩২
প্রকাশিত: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৯:০৯ আপডেট: ১৮ আগস্ট ২০১৮, ১৩:৩২


সাগরে রোহিঙ্গাবাহী নৌকাডুবি। ফাইল ছবি

(প্রিয়.কম) কক্সবাজারের জালিয়াপালং ইউনিয়নের ইনানিতে ২৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে রোহিঙ্গাবাহী নৌকাডুবির ঘটনায় ৬০ জনেরও বেশি প্রাণহানি ঘটেছে বলে আশঙ্কা করছে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।

জাতিসংঘের এই সংস্থাটির একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বৃট্রিশ গণমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’ ২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জানায়, রোহিঙ্গাবাহী নৌকাডুবিতে ইতোমধ্যে ২৩ রোহিঙ্গার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ছাড়া আরও অন্তত ৪০ জন নিখোঁজ রয়েছে। তবে ওই ঘটনার শিকার সবারই মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে মোট মৃতের সংখ্যা ৬০ জন হতে পারে।

নৌকাডুবির ঘটনায় বেঁচে ফেরা একজন রোহিঙ্গা শরণার্থী বৃহস্পতিবার আইওএমকে জানায়, ওই নৌকায় ৫০ শিশুসহ প্রায় ৮০ জন রোহিঙ্গা ছিল। তারা সবাই সহিংসতার শিকার হয়ে প্রাণ বাঁচাতে রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসছিল। কিন্তু সমুদ্রের প্রচণ্ড ঢেউয়ের মুখে পড়ে নৌকাটি উল্টে যায়।

আইওএম এর ওই মুখপাত্র ‘দ্য গার্ডিয়া ‘কে বলেন, তারা সবাই সারা রাত সাগরে কাটিয়েছে, এ সময় তাদের কাছে কোনো খাবার ছিল না।

প্রসঙ্গত, গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা নিধন অভিযান শুরুর পর প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ইতোমধ্যে পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে গেছে  বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। তবে বেসরকারি হিসেবে এ সংখ্যা ৬ লাখেরও বেশি। এদিকে পালিয়ে আসার হার আগের চেয়ে কিছুটা কমলেও, তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে বলার সময় এখনও হয়নি জানান সংস্থাটির মুখপাত্র।     

অভিযানের নামে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী খুন, ধর্ষণ, ঘরবাড়ি পুরিয়ে দেওয়া, কুপিয়ে হত্যাসহ বর্বরতার চূড়ান্ত সীমাও অতিক্রম করেছে বলে অভিযোগ নিউইয়র্ক ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইচ ওয়াচের। স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত ছবি বিশ্লেষণের মাধ্যমে সংস্থাটি বলেছে, ইতোমধ্যে প্রায় ২১৪টি রোহিঙ্গা অধুষ্যিত গ্রাম পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী মানবতাবিরোধী অপরাধ করছে। তাই দেশটির ওপর কিছু ক্ষেত্রে ও তার সেনাবাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানায় সংস্থাটি।

প্রিয় সংবাদ/কামরুল

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...