তিস্তা ব্যারেজ। সংগৃহীত ছবি

বৃদ্ধি পাচ্ছে নদীর পানি, বন্যার আশঙ্কা কতটুকু

টানা বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিরাজগঞ্জর যমুনা এবং পদ্মার ফরিদপুর ও রাজবাড়ী অংশে কয়েক দিন ধরে বাড়তে শুরু করেছে পানি। এরই মধ্যে পদ্মার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

প্রিয় ডেস্ক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১৯ আগস্ট ২০২১, ১৩:৩৭ আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০২১, ১৩:৩৮
প্রকাশিত: ১৯ আগস্ট ২০২১, ১৩:৩৭ আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০২১, ১৩:৩৮


তিস্তা ব্যারেজ। সংগৃহীত ছবি

টানা বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিরাজগঞ্জর যমুনা এবং পদ্মার ফরিদপুর ও রাজবাড়ী অংশে কয়েক দিন ধরে বাড়তে শুরু করেছে পানি। এরই মধ্যে পদ্মার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

রাজবাড়ীর দুই পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপরে পদ্মার পানি—জাগোনিউজ (১৯ আগস্ট ২০২১): রাজবাড়ীতে দুটি পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে বাঁধের বাইরে থাকা নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) সকালে এ তথ্য জানা গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজবাড়ী গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার বেড়ে ২৫ ও পাংশার সেনগ্রাম পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার ওপরে রয়েছে। তবে রাজবাড়ী সদরের মহেন্দ্রপুর গেজ স্টেশন পয়েন্টে পদ্মার পানি এখনো বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে পানি বৃদ্ধির ফলে নদীতে স্রোতও বেড়েছে। ফলে পদ্মা পাড়ের মানুষের মধ্যে ভাঙন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। 

পদ্মার পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই—বাংলানিউজ২৪ (১৯ আগস্ট ২০২১): ভাদ্রের শুরুতেই ফুলে-ফেঁপে ওঠেছে কীর্তিনাশা পদ্মা। গেল কয়েক দিনের বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে- রাজশাহীর পদ্মা নদীতে হু হু করে পানি বাড়ছে। রাজশাহীতে পদ্মার বিপৎসীমা হচ্ছে ১৮ দশমিক ৫০ মিটার। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় পানির উচ্চতা মাপা হয়েছে ১৭ দশমিক ৭৯ মিটার। অর্থাৎ বিপৎসীমার ৭১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে বর্তমানে প্রবাহিত হচ্ছে পদ্মার পানি। প্রতিদিনই প্রায় ৯-১০ সেন্টিমিটার করে পানি বাড়ছে নদীতে৷ রাজশাহী জেলার পবা ও গোদাগাড়ীতে নদীর তীরবর্তী এলাকায় ইতোমধ্যে ভাঙন শুরু হয়েছে। এভাবে পানি বাড়লে আগামী সপ্তাহের মধ্যে ভাঙন আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন নদী পাড়ের মানুষ।

বাড়ছে তিস্তার পানি, পানিবন্দি ৪ হাজার পরিবার—ঢাকা ট্রিবিউন (১৯ আগস্ট ২০২১): ভারতের উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢল এবং ভারতের গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজের সবগুলো গেট খুলে দেওয়ায় তিস্তা নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। তিস্তা নদীর পানি দফায় দফায় বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ৩৫টি গ্রাম ২ থেকে ৩ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে ফলে প্রায় ৪ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের রংপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবিব জানিয়েছেন, তিস্তা নদীর পানি নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে রংপুরের গঙ্গাছড়া উপজেলায় তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গঙ্গাছড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তসলিমা বেগম জানিয়েছেন, তিস্তা নদীর পানি দফায় দফায় বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে চরাঞ্চলের গ্রামসহ উপজেলার ৩৫টি গ্রাম ২ থেকে ৪ ফুট পানিতে প্লাবিত হয়ে পড়েছে।

দৌলতপুরে দুই ইউনিয়নের ২০ গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত—বার্তা২৪ (১৯ আগস্ট ২০২১): কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীর পানি আকস্মিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। উপজেলার দুই ইউনিয়নের অন্তত ২০টি গ্রামে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। এতে গ্রামগুলোর প্রায় ৮ হাজার পরিবারের ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। প্রায় ১শ’ হেক্টর জমির ফসল পানির নিচে তলিয়ে গেছে। নিরবিচ্ছিন্নভাবে পানি বৃদ্ধির হার অব্যাহত থাকায় প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম মানবেতর জীবন-যাপন করছেন পদ্মা চরের মানুষগুলো। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে দু-তিন দিনের মধ্যেই পদ্মার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করবে বলে অনেকেই আশংকা প্রকাশ করেছেন।

আড়িয়াল খাঁর পানি আরও বেড়েছে—নিউজজি২৪ (১৯ আগস্ট ২০২১): আড়িয়াল খাঁ নদীর পানি আরও বেড়ে যাওয়ায় তলিয়ে গেছে মুন্সিগঞ্জ, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার চর এবং নিম্নাঞ্চল। এদিকে লালমনিরহাটের তিস্তা নদীর পনি বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন। ডুবে গেছে নিম্নাঞ্চলের ফসলের ক্ষেত। পানিবন্দী হয়েছে হাজারো মানুষ।

সিরাজগঞ্জে বেড়েছে যমুনা নদীর পানি—এনটিভি অনলাইন (১৯ আগস্ট ২০২১): সিরাজগঞ্জে আজও বেড়েছে যমুনা নদীর পানি। একই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানি বৃদ্ধিও অব্যাহত রয়েছে। পানি বৃদ্ধির ফলে বন্যাকবলিত হয়ে পড়ছে নতুন নতুন এলাকা। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কাজিপুরের মেঘাই ঘাট পয়েন্টেও পানিবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।এদিকে, যমুনা নদীর সঙ্গে সঙ্গে চলনবিল, ফুলঝোড়, ইছামতি, করতোয়া ও বড়াল নদীর পানিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে ক্রমেই অবনতি হচ্ছে জেলার বন্যা পরিস্থিতির। প্রতিদিনই বন্যা কবলিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। বসতবাড়িতে পানি উঠে পড়ায় বিপাকে পড়েছেন বন্যা কবলিত এলাকাগুলোর মানুষ।

ধলেশ্বরী নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত—মানবজমিন (১৮ আগস্ট ২০২১): টাঙ্গাইলে যমুনা-ধলেশ্বরীসহ সকল নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে করে চরাঞ্চলের নিচু এলাকায় পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। ক্ষতি হচ্ছে বিভিন্ন ফসলের। পানিবন্দি হয়ে পড়ছে লোকজন। ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে নদী তীরবর্তী টাঙ্গাইল সদর, ভূঞাপুর, কালিহাতী, নাগরপুরের বিভিন্ন এলাকায়।

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...