মোবাইলফোনে ১০০ টাকা কথা বললে সরকার পাবে ২৭ টাকা। সরকার এখন এ খাত থেকে ২২ টাকা পেয়ে আসছে। ফলে গ্রাহক যত বেশি কথা বলবে তত বেশি কর পাবে সরকার। ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে চলমান ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে মোবাইল সেবার ওপর ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট), ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং তার সঙ্গে ১ শতাংশ সারচার্জসহ মোট করের পরিমাণ প্রায় ২২ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেটে বিদ্যমান করের সঙ্গে ‘বাড়তি’ ৫ শতাংশ যোগ হচ্ছে। বাড়তি করহার পাস হলে মোবাইল সেবায় মোট করহার দাঁড়াবে প্রায় ২৭ শতাংশ। ফলে গ্রাহকের কথা বলার খরচ আরও বেড়ে যাবে। আগে কথা বলার ওপর সম্পূরক শুল্ক ছিল ৫ শতাংশ। আরও ৫ শতাংশ বাড়িয়ে তা ১০ শতাংশ করার কথা বলা হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় এই প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। বাজেট বক্তৃতায় মোবাইল ফোনের সিম/রিম কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে প্রদত্ত সেবার বিপরীতে সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ হতে বৃদ্ধি করে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করার কথা বলা হয়েছে। বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, আইসিটি খাতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ সেলুলার ফোন উৎপাদন ও সংযোজনে রেয়াতি সুবিধা দেয়ার কারণে স্থানীয় পর্যায়ে পাঁচ থেকে ছয়টি সেলুলার ফোন উৎপাদন ও সংযোজনকারী প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এ খাতে বিদ্যমান সুবিধা অব্যাহত রেখে সেলুলার ফোন উৎপাদনে প্রয়োজনীয় কিছু যন্ত্রাংশ আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করছি। তবে ফিচার ফোন ও স্মার্টফোনের মধ্যে স্মার্টফোনের ওপর আমদানি শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমদানি পর্যায়ে স্মার্টফোন ও ফিচার ফোনে বর্তমানে ১০ শতাংশ আমদানি শুল্ক রয়েছে। ফিচার ফোন দেশের অপেক্ষাকৃত নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠী ব্যবহার করে থাকে। অন্যদিকে, স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকে বিত্তবান মানুষেরা। তাই স্মার্টফোনের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি।