দাউদকান্দিতে দ্বিতীয় মেঘনা-গোমতী সেতু ও মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার দ্বিতীয় মেঘনা সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। শনিবার (২৫শে মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এই দুটি সেতু। চার লেনের এই মহাসড়কের যানবাহনগুলো এতদিন দুই লেনের গোমতী ও মেঘনা সেতুতে ওঠার সময় যানজটের কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকত। প্রত্যেকটি গাড়িকে গড়ে দুই থেকে তিন ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকতে হতো। ঈদের ছুটির আগে-পরে যানজট আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করত। ১০-১২ ঘণ্টাও যানজটে পড়তে হতো ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী যানবাহনগুলোকে। এতে প্রতিদিনই লাখো যাত্রীকে চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তিতে পড়তে হতো। শনিবার বহুপ্রতীক্ষিত সেতু দুটি উদ্বোধনের পর যানজটের চিত্র পাল্টে গেছে। সেই চিরচেনা যানজট আর নেই। দ্বিতীয় এই সেতু দুটি চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এর সুফল পাচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা। ঢাকা থেকে সৌদিয়া পরিবহনের একটি বাস দুপুর ১২টায় চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। মাত্র চার ঘণ্টা পর বিকাল ৪টায় চট্টগ্রাম চলে আসে বাসটি। একইভাবে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বিলাসবহুল গ্রিন লাইন পরিবহনের একটি বাস সাড়ে চার ঘণ্টায় চট্টগ্রাম চলে আসে। দূরত্ব কমার সঙ্গে সঙ্গে স্বস্তি ফিরে এসেছে ট্রাফিক পুলিশ, যাত্রী ও চালকদের মাঝেও। আগে যেখানে সেতু পার হতে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা সময় লাগতো, এখন সেখানে সময় লাগে ছয় থেকে ৮ মিনিট। মেঘনা ও মেঘনা-গোমতী সেতুর সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানান, চার লেনবিশিষ্ট ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে যানবাহন এসে আগে উঠতো এক লেনবিশিষ্ট পুরাতন মেঘনা-গোমতী সেতুতে। তাছাড়া পুরাতন সেতু দুটি বেশি ঢালু হওয়ায় ধীরগতিতে যান চলাচল করতো। ফলে বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব ও সরকারি ছুটির দিনে তীব্র যানজট লেগে থাকতো।এতে করে ভোগান্তি পোহাতে হতো যাত্রী ও চালকদের। কিন্তু এবার ঈদের আগে দ্বিতীয় মেঘনা ও মেঘনা-গোমতী সেতু খুলে দেওয়ায় মানুষের ভোগান্তি কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেতু দুটি চালু হওয়ায় এই রুটে চলাচলকারী গণপরিবহনের চালকেরা ভীষণ খুশি। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচলকারী শ্যামলী পরিবহনের চালক আব্দুস সালাম বলেন, এবার ঈদে যানজটের কোনও আশঙ্কা নেই। আগের সেতুটি ছিল এক লেনের এবং রাস্তা থেকে বেশ উঁচুতে। ফলে চার লেনের সড়ক থেকে ঢাল বেয়ে ধীরগতিতে গাড়িগুলো গিয়ে উঠতো এক লেনের সেতুতে। এতে যানজট লেগেই থাকতো। দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় মেঘনা-গোমতি সেতু চার লেনের। দুই লেনে গাড়ি যাবে এবং দুই লেনে গাড়ি আসবে। এতে করে সেতুতে কোনো যানজট হবে না।