প্রতি বছরের মতো এবারো পহেলা বৈশাখে আমাদের মিডিয়া কেন্দ্রিক কিছু অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে। সেগুলোতে অংশ নেব। তাই পহেলা বৈশাখের সকাল থেকেই সহকর্মীদের সঙ্গে থাকবো। সবার সঙ্গে আড্ডায়-আনন্দে বাংলা নববর্ষকে বরণ করবো। তবে এই বৈশাখেও স্ত্রী-সন্তানকে মিস করব। আজ পহেলা বৈশাখের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে এ কথাগুলো বলেন দুই পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন। তিনি আরো বলেন, ২০১৪ সালে সর্বশেষ পহেলা বৈশাখে আমি আর আমার স্ত্রী-সন্তান একসঙ্গে ছিলাম। যখন দেখি কোনো পরিবারের সবাই একসঙ্গে বেড়াচ্ছে তখন আমিও আমার স্ত্রী-সন্তানকে বেশি মিস করি। কিন্তু কিছু করার থাকে না। কারণ, ওরা আমেরিকায় থাকে। এদিকে এই অভিনেতা বর্তমানে ঈদের নাটকের শুটিংয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে এই পহেলা বৈশাখে কোনো নাটকে তাকে দেখা যাবে না বলে জানান। শুক্রবার সকাল আহমেদের একটি নাটকের শুটিং করেছেন তিনি। এটি নির্মাণ হচ্ছে আসছে ঈদের জন্য। এরইমধ্যে তিনি ঈদের জন্য শেষ করেছেন ‘আইজু দ্য ভাই’ শিরোনামের আরো একটি নাটক। এটি নির্মাণ হয়েছে দীপ্ত টিভির জন্য। মিলন বলেন, ঈদের জন্য কয়েকটি নাটকের শুটিং শেষ করেছি। তবে ঈদের জন্য আগামী মাস থেকে পুরো ব্যস্ত থাকবো। এবার ব্যতিক্রমী কিছু করার ইচ্ছে আছে। এদিকে খণ্ড নাটকের বাইরে মিলন একাধিক ধারাবাহিক নাটকেও অভিনয় করছেন। ধারাবাহিকগুলোর মধ্যে ‘জুলি বিউটিফুল’ নির্মাণ করছেন বিপ্লব হায়দার। ‘মুশকিল আসান প্রা: লি:’ শিরোনামের নতুন একটি ধারাবাহিকের শুটিংও শেষ করেছেন তিনি। এটি এটিএন বাংলার জন্য নির্মাণ হয়েছে । এ ধারাবাহিকটির নির্মাতা এস এম রুবেল রানা। বর্তমানে দীপ্ত টিভির ‘মধ্যবর্তিনী-২’ ধারাবাহিক নিয়েও ব্যস্ত আছেন এই অভিনেতা। এর আগে ‘মধ্যবর্তিনী’ ধারাবাহিকের ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তায় পরবর্তী সিজন নির্মাণ করছে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। ছোট পর্দার বাইরে বড় পর্দায়ও আছে মিলনের সমান ব্যস্ততা। তার হাতে আছে ‘লীলাবতি’, ‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’ ‘সেভ লাইফ’, ‘সাদাকালো প্রেম’ ও ‘পাপ কাহিনি’সহ কয়েকটি চলচ্চিত্র। এগুলো নিয়ে মিলন বেশ আশাবাদী। ছোট নাকি বড় পর্দায় কোনটিতে এ অভিনেতা বেশি ব্যস্ত আছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি দুই পর্দার মানুষ। দুটিতেই সমানভাবে কাজ করছি। টিভি নাকি চলচ্চিত্র কোনটিতে বেশি ব্যস্ত থাকবো এটি নিয়ে কখনো ভাবি না। আমি একজন অভিনেতা। নিয়মিত কাজ করাই আমার লক্ষ্য থাকে। এই সময়ে আমাদের চলচ্চিত্রের পরিবেশ কেমন বলে মনে করেন? মিলন বলেন, আমাদের এখন আগের চেয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের সংখ্যা কমে গেছে। একটা সময় প্রতি সপ্তাহে নতুন চলচ্চিত্র মুুক্তি পেত। এখন সেটি আর দেখা যায় না। এটি দুঃখজনক বিষয়। আমাদের চলচ্চিত্রের সবাইকে এই বিষয়টির দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। প্রতি সপ্তাহে একটি চলচ্চিত্রও যদি মুক্তি পায় তাহলে দর্শক ধীরে ধীরে হলমুখী হবে। সোনাগাজীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান হত্যার প্রতিবাদে সোস্যাল মিডিয়ায় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিক্ষুব্ধ তারকারা। বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মারা যান নুসরাত। শোবিজ অঙ্গনের অনেক তারকা তাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে নুসরাতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। এমন নৃশংস ঘটনায় মিলনও বিস্মিত বলে জানান। তিনি বলেন, যারা এই ধরনের অপরাধ করছে তাদের শাস্তি যদি প্রকাশ্যে সবাই দেখতো তাহলে অপরাধীরা ভয় পেত। নতুন কোনো অপরাধ করার সাহস আর পেত না। কিন্তু আমাদের সেটি দেখার সুযোগ হয় না বলেই একের পর এক অপরাধ ঘটছে।