ধর্ষকদের প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু স্মারক ভাস্কর্যের সামনে এক মানববন্ধনে এ দাবি করেন তারা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্রীদের ব্যানারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধন থেকে বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে ৩০ দিনের মধ্যে বিচার করে ধর্ষককে ফাঁসিতে ঝোলানোর দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড বহন করেন। যেখানে লেখা ছিল- ‘শিশুকামীদের ফাঁসি চাই, মৃত্যুদণ্ড চাই’, ‘ধর্ষকের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চাই’, ‘বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে ৩০ দিনের মধ্যে বিচার করে ধর্ষককে দড়িতে ঝোলাতে হবে’, ‘বিকৃত মানুষরূপী জানোয়ারমুক্ত সমাজ দাবি নয়, অধিকার’, ‘নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সময়ের দাবি’ ইত্যাদি। মানববন্ধনে ডাকসুর কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া বিষয়ক সম্পাদক বিএম লিপি আক্তার বলেন, আমরা ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। তাদেরকে প্রকাশ্যে ফাঁসি দেয়া হোক। অন্যান্য অপরাধের প্রকাশ্যে বিচার হলেও ধর্ষকদের বিচার হয় না। একটা খুনের চেয়ে ধর্ষণ কোনো অংশে ছোট না। ধর্ষণের শাস্তি যদি মৃত্যুদণ্ড হয় তাহলে স্বাভাবিকভাবে ধর্ষকরা ভয় পাবে। ডাকসুর সাংস্কৃতিক সম্পাদক আসিফ তালুকদার বলেন, ধর্ষণ কারো একক সমস্যা নয়, এটি দেশ, সমাজ তথা সারা বিশ্বের বিবেকবান মানুষের কাছে মূর্তমান আতঙ্ক। ধর্ষক কারো আপন নয়; এরা সমাজের বুকে মূর্তমান আতঙ্ক ও মানুষ রূপে পশু। আমরা পুরুষ কিংবা নারী নই; আমরা মানুষ। ধর্ষণের মতন অপরাধের শাস্তি হোক জনসম্মুখে, দ্রুত বিচার আইনে। পরিবেশ বিজ্ঞানী কানিজ আকলিমা সুলতানা বলেন, ‘ধর্ষণ এবং নির্যাতনের ঘটনা বর্তমানে মহামারি আকার ধারণ করেছে। যেকোনো মহামারি সরকার চাইলে রুখতে পারে। প্রশাসন যদি তাদের এলাকার স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার সঙ্গে সংযুক্ত থেকে খোঁজ-খবর নেয় তাহলে এই ধর্ষণ রোধ হবে। একটা ধর্ষণ হলে পুরো পারিবারিক কাঠামো ভেঙ্গে যায়। এই পরিবারটা আর কোনোদিন মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে না। তাই আমরা চাই ধর্ষকদের শাস্তি হোক মৃত্যুদণ্ড।