শীত এলেই অবনতি হয় ঢাকার বায়ুমানের। স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা পরামর্শ দেন মাস্ক পরে বাইরে বের হতে। ঢাকার বাতাসে থাকে অতিক্ষুদ্র ধূলিকণা। ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলোর কারণেই মূলত দূষিত হয় ঢাকার বাতাস। যে কারণে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় সবচেয়ে শীর্ষে উঠে আসে ঘনবসতিপূর্ণ ঢাকার নাম।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের মান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়। এখন প্রায় প্রতিদিনই দূষিত বাতাসের তালিকার শীর্ষে আসছে ঢাকা। বায়ুদূষণ ক্রমাগত বিশ্বব্যাপী মৃত্যু ও অক্ষমতার ঝুঁকির কারণগুলোর মধ্যে একটি। দীর্ঘদিন দূষিত বায়ুতে শ্বাস নেওয়ার ফলে একজন ব্যক্তি হৃদরোগ, শ্বাসযন্ত্রের রোগ, ফুসফুসের সংক্রমণ ও ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ুদূষণে বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর মূলত স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী বাধা পালমোনারি রোগ, ফুসফুসের ক্যান্সার ও তীব্র শ্বাসকষ্ট সংক্রমণের ফলে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। তবে বায়ুদূষণের প্রভাবে শুধু শরীর নয়, ক্ষতিগ্রস্ত হয় ত্বকও।
তাই ত্বকের বাড়তি যত্ন নেওয়া জরুরি। বিশেষ করে যারা কাজের প্রয়োজনে ঘরের বাইরে যান, তাদের জন্য এটি বেশি জরুরি। এক্ষেত্রে বাইরে থেকে বাসায় ফিরে নিতে হবে ত্বকের কিছু বাড়তি যত্ন।
জীবনযাপনে পরিবর্তন
ত্বকের খেয়াল রাখার জন্য অনেকে শুধু প্রসাধনী ব্যবহারেই গুরুত্ব দেন। তবে এমনটি করলে চলবে না।
জীবনযাপনেও বদল আনতে হবে। বিশেষ করে খাদ্যাভাসে সতর্ক থাকা জরুরি। বাইরের খাবার খাওয়া একেবারেই চলবে না। বেশি করে পানি পান করতে হবে। ফল খেতে হবে নিয়ম করে।
ক্লিনজিং
ত্বকের ধরন যেমনই হোক বাইরে থেকে ঘরে ফিরে ক্লিনজিং করা জরুরি। বিশেষ করে দূষণের প্রভাব যাতে ত্বকে না পড়ে সে জন্য ক্লিনজিং গুরুত্বপূর্ণ। বাইরে থেকে ফিরে তো বটেই, কোথাও না বেরোলেও দিনে অন্তত দু’বার ক্লিনজার ব্যবহার করা ত্বকের জন্য ভালো।
সানস্ক্রিন
শীত এসে গেছে মানেই সানস্ক্রিনের পাট চুকে গেল এমন ভাবনা ভুল। শীত আর বায়ুদূষণ থেকে ত্বকের অন্যতম রক্ষাকবচ সানস্ক্রিন। সানস্ক্রিন রোদের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বক নিরাপদে রাখে। তাছাড়া বায়ুদূষণের প্রভাবও ত্বকে সরাসরি পড়তে দেয় না সানস্ক্রিন।