গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়। অথচ এখনও শেষ হয়নি আওয়ামী শাসনামলে সুবিধাভোগীদের দাপট। প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয় থেকে শুরু করে দেশের গুরুত্বপূর্ণ সব প্রতিষ্ঠানে খোলস বদলে নতুন আধিপত্যের জাল বিস্তার করছেন তারা। কেউ কেউ নাম লেখাচ্ছেন বঞ্চিতদের তালিকায়। সুশীলদের ব্যানারে কেউ আবার গড়ে তুলছেন নতুন সিন্ডিকেট।
এমনই সুবিধাভোগীদের খপ্পরে পড়েছে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল। ফলে একদিকে যেমন চিকিৎসকদের মধ্যে তৈরি হচ্ছে অন্তঃকলহ, অন্যদিকে ভোগান্তি বাড়ছে সেবাপ্রত্যাশীদের। দেশে নতুন সরকারের মেয়াদ দুই মাসের বেশি হলেও জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল চলছে পতিত সরকারের সুবিধাভোগীদের প্রেসক্রিপশনে।
শক্তিশালী সুবিধাভোগী সিন্ডিকেট
অনুসন্ধানে জানা যায়, সরকারি চিকিৎসক হয়েও আওয়ামী সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের চাইল্ড অ্যাডলেসেন্ট অ্যান্ড ফ্যামিলি সাইকিয়াট্রি বিভাগের প্রধান ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ, জেরিয়াট্রিক অ্যান্ড অর্গানিক সাইকিয়াট্রি বিভাগের ডা. মোহাম্মদ তারিকুল আলম সুমন, কমিউনিটি অ্যান্ড সোশ্যাল সাইকিয়াট্রি বিভাগের ডা. মোহাম্মদ মুনতাসীর মারুফ ও ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক ডা. অভ্র দাস ভৌমিক। এ সিন্ডিকেটের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন ডা. অভ্র দাস ভৌমিক। তিনি ও হেলাল আহমেদের নেতৃত্বে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট হয়ে উঠেছিল আওয়ামী লীগের অঘোষিত নির্বাচনী ক্যাম্প।