ন্যূনতম সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচন চায় দেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি। একই দাবি জামায়াতে ইসলামীরও। ইতোমধ্যে দুই দলের নেতারা দল গোছানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। পাশাপাশি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে মাঠও গোছাচ্ছে দল দুটি। সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ নির্বাচনি আসনে এখন সক্রিয়। নেতারা জনসংযোগের পাশাপাশি যোগ দিচ্ছেন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোয়। ঐক্য ও শান্তির বার্তা দেওয়ার সঙ্গে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতিও। মাঠ পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এসব তথ্য।
বিএনপির একাধিক নীতিনির্ধারক জানান, সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনি প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে কাউকে নির্বাচনি প্রচারণার কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি। দলের ইতিবাচক কর্মকাণ্ড ও চিন্তাভাবনা তুলে ধরছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। নীতিনির্ধারকদের মতে, প্রার্থী নির্ধারণে প্রাধান্য পাবেন বিগত নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলীয় প্রার্থী, যারা আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন এবং ছাত্রদল থেকে উঠে আসা নেতারা। তবে একক নাকি জোটবদ্ধভাবে অংশ নেবে, তা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর চূড়ান্ত হবে। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, নির্বাচনের ব্যাপারে জামায়াতের দুই ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। প্রথমত, জামায়াত নিজেরাই ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে। দ্বিতীয়ত, নির্বাচনের সময় যখন আসবে, তখন যে পরিস্থিতি বিরাজ করবে, তার আলোকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কাজেই এককভাবে নাকি জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়া হবে, তা এখনই বলার সুযোগ নেই।