রাজস্থানের আজমির শহরে অবস্থিত সুফি সাধক ও চিশতিয়া তরিকার প্রতিষ্ঠাতা খাজা মঈনুদ্দিন চিশতীর দরগাহ শরীফ নিয়ে নতুন করে বিতর্কের শুরু হয়েছে। দিল্লিভিত্তিক হিন্দু সেনা সংগঠন দাবি করছে, বর্তমান দরগাহের স্থানে আগে একটি শিব মন্দির ছিল। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে আজমিরের মুন্সেফ আদালত সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক, প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (এএসআই) এবং দরগাহ কমিটিকে নোটিশ জারি করেছে। দ্যা টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর দিয়েছে।
খাজা মঈনুদ্দিন চিশতির এই দরগাহ শত শত বছর ধরে মুসলিম ও অমুসলিম উভয়ের জন্য পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মানবতা, প্রেম, সহিষ্ণুতা ও সৃষ্টিকর্তার প্রতি ভক্তি প্রচার ছিল খাজা মঈনুদ্দিন চিশতির জীবনকর্মের মূল বার্তা। দুনিয়া জুড়ে তিনি ‘গরিবে নেওয়াজ’ নামে পরিচিত।
ভারতীয় পত্রিকার খবরে বলা হয়, হিন্দু সেনার পক্ষে আইনজীবীরা আদালতে কিছু দলিল ও তথ্য-প্রমাণ জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে ১৯১১ সালে প্রকাশিত হর বিলাস সারদারের লেখা আজমির: হিস্টরিকেল অ্যান্ড ডেসক্রিপটিভ নামের একটি বই, যেখানে দাবি করা হয়েছে দরগাহ নির্মাণে শিব মন্দিরের অবশিষ্টাংশ ব্যবহার করা হয়েছিল।
হিন্দু সেনার দাবি, দরগাহের গম্বুজে মন্দিরের কিছু টুকরো থাকার এবং বেসমেন্টে গর্ভগৃহের উপস্থিতির প্রমাণ রয়েছে। তারা প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের মাধ্যমে দরগাহ স্থানের একটি বিস্তারিত জরিপ চেয়েছে।